ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেতাগীতে বিএনপির আধিপত্য বিস্তারে দুই গ্রুপের তুঘলকি কান্ড!

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ০১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৭ ভিউ

বেতাগী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগীতে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ গুরতর আহত হয়েছেন ১৫ জন। মঙ্গলবার রাত ৯টায় বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে রাত ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের তিন শতাধিক সমর্থকদের মধ্যে চলে ধাওয়া—পাল্টাধাওয়া সহ উত্তেজনা। এসময়ে ওই এলাকায় বেশ আতঙ্ক বিরাজ করে। পরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য, নৌ—বাহিনী ও ডিবি‘র টিম আসলে রাত ৩টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। হামলার ঘটনায় আহতরা ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওই দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
সাধারন স্থানীয়রা জানান, আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকেই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ‘শাহজাহান কবির’ সমর্থিত গ্রুপ ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ‘হুমায়ুন কবির মল্লিক’ সমর্থিত দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা চলছে। সেই প্রতিযোগিতাই দিনে দিনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় রূপান্তরিত হয়েছে। কেউ কেউ আবার গতকালের ঘটনাকে ‘আধিপত্য বিস্তারে তুঘলকি কান্ড হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন। এদিকে বেতাগী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা(ইউএনও) এবং থানার ওসির সামনে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটলেও কাউকে আটক করেনি পুলিশ, এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা—সমালোচনা। তবে হামলায় আহতদের একাংশ (শাহজাহান গ্রুপ) বলছেন হুমায়ুন কবির মল্লিকের সাথে (ইউএনও) মো. বশির গাজীর শখ্যতাকে উৎস্য করে ক্ষমতার দাপটে ঘটেছে হামলার ঘটনা। এদিকে (হুমায়ুন কবির গ্রুপ) অন্য গ্রুপের দাবী, বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যানারে শাহজাহান কবিরের নাম না থাকায় ক্ষীপ্ত হয়ে তার ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আহসানুল কবির সোয়েবের নেতৃত্বে হামলা,সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
বিএনপির স্থানীয় নেতা—কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির। কিন্তু উপজেলার প্রবীণ বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবিরের নাম ছিলোনা অনুষ্ঠানে সাটানো ওই ব্যানারে। ফলে তার অনুসারীদের মধ্যে উদ্বেগজনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহিন জানান, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ইউএনও মহোদয়, তার নির্দেশনা মতেই অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম সমাপ্তি করেছি। শাহজাহান কবিরকে নিমন্ত্রনপত্র দিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বর্তমানে তাঁর কোনো দলীয় পদ না থাকায় ব্যানারে নাম রাখা হয়নি। আর এটিকে ইস্যু করেই তিনি ও তাঁর ছেলে (শোয়েব কবির) লোকজন নিয়ে কলেজে এসে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে খবর পেয়ে বিএনপির আহবায়ক হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে,আহত হন হুমায়ুন কবির, শোয়েব, জামাল খান রিন্টুসহ একাধিক ব্যক্তি। এমনকি প্রতিষ্ঠানেও হামলা ও ভাঙচুর চালান তারা। এ সময় ইউএনও স্যার নিজে উপস্থিত ছিলেন, একপর্যায় তিনি চলে যান। তবে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম লোটন, তিনি বলেন শাহজাহান কবিরের ছেলে শোয়েব কোনো ধরনের উচ্চবাচ্য করেননি। শুধু অধ্যক্ষকে বলেছেন স্যার আমাদেরকেও দাওয়াত দিয়েন। এর মধ্যে হুমায়ন কবিরের গ্রুপ এসে হামলা শুরু করলে পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আহসানুল কবির শোয়েব(শাহজাহান পুত্র) ঘটনাস্থলেই ইউএনও বশির গাজীর দিকে অভিযোগ তুলে বলেন ইউএনও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের ওপর হামলা করিয়েছেন। তিনি(ইউএনও) বেতাগীতে গ্রুপিং রাজনীতির ফায়দা লুটছেন। হুমায়ুন কবির মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনুষ্ঠানের ব্যানারে নাম না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজাহান কবির ও তাঁর ছেলে শোয়েব সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের নেতা—কর্মীদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করেন। আমিসহ আমার দলের কয়েকজন নেতা—কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছি। বিএনপি নেতা হজাহান কবির বলেন, ‘আমার ছেলে অনুষ্ঠান শেষে অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। খবর পেয়ে হুমায়ূন কবির লোকজন নিয়ে সেখানে তাঁদের সাথে কথা—কাটাকাটি করেন। একপর্যায়ে মারামারি শুরু হলে এতে আমার ছেলের মাথায় গুরতর আঘাত পায়। পরে ঘটনাটি পাল্টাপাল্টি হয়।


উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি (গভর্ণিং বডি) মো.বশির গাজীর কাছে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হামলার ঘটনাসহ তার বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপির একাংশের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ আমি এবং থানার ওসি ঘটনাস্থলে থেকে হামলার ঘটনাকে মোকাবেলা করেছি। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যতটুকু দায়িত্ব ঠিক তাই পালন করতে চেষ্টা করেছি। তবে আমি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করিনি বা কোনো দল—ব্যক্তির সাথে শখ্যতার প্রশ্নই আসেনা। প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে আলোচনা করে সিদ্বান্ত নেয়া হবে।
এদিকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমনটাই নিশ্চিত করেন বেতাগী থানার (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি আরো বলেন ঘটনা ও পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারতো, শক্ত হাতে প্রতিহত করেছি ফলে এ ঘটনায় আমাদের দুইজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

বেতাগীতে বিএনপির আধিপত্য বিস্তারে দুই গ্রুপের তুঘলকি কান্ড!

আপডেট টাইম ০১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বেতাগী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগীতে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ গুরতর আহত হয়েছেন ১৫ জন। মঙ্গলবার রাত ৯টায় বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে রাত ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের তিন শতাধিক সমর্থকদের মধ্যে চলে ধাওয়া—পাল্টাধাওয়া সহ উত্তেজনা। এসময়ে ওই এলাকায় বেশ আতঙ্ক বিরাজ করে। পরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য, নৌ—বাহিনী ও ডিবি‘র টিম আসলে রাত ৩টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। হামলার ঘটনায় আহতরা ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওই দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
সাধারন স্থানীয়রা জানান, আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকেই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ‘শাহজাহান কবির’ সমর্থিত গ্রুপ ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ‘হুমায়ুন কবির মল্লিক’ সমর্থিত দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা চলছে। সেই প্রতিযোগিতাই দিনে দিনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় রূপান্তরিত হয়েছে। কেউ কেউ আবার গতকালের ঘটনাকে ‘আধিপত্য বিস্তারে তুঘলকি কান্ড হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন। এদিকে বেতাগী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা(ইউএনও) এবং থানার ওসির সামনে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটলেও কাউকে আটক করেনি পুলিশ, এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা—সমালোচনা। তবে হামলায় আহতদের একাংশ (শাহজাহান গ্রুপ) বলছেন হুমায়ুন কবির মল্লিকের সাথে (ইউএনও) মো. বশির গাজীর শখ্যতাকে উৎস্য করে ক্ষমতার দাপটে ঘটেছে হামলার ঘটনা। এদিকে (হুমায়ুন কবির গ্রুপ) অন্য গ্রুপের দাবী, বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যানারে শাহজাহান কবিরের নাম না থাকায় ক্ষীপ্ত হয়ে তার ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আহসানুল কবির সোয়েবের নেতৃত্বে হামলা,সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
বিএনপির স্থানীয় নেতা—কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির। কিন্তু উপজেলার প্রবীণ বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবিরের নাম ছিলোনা অনুষ্ঠানে সাটানো ওই ব্যানারে। ফলে তার অনুসারীদের মধ্যে উদ্বেগজনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহিন জানান, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ইউএনও মহোদয়, তার নির্দেশনা মতেই অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম সমাপ্তি করেছি। শাহজাহান কবিরকে নিমন্ত্রনপত্র দিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বর্তমানে তাঁর কোনো দলীয় পদ না থাকায় ব্যানারে নাম রাখা হয়নি। আর এটিকে ইস্যু করেই তিনি ও তাঁর ছেলে (শোয়েব কবির) লোকজন নিয়ে কলেজে এসে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে খবর পেয়ে বিএনপির আহবায়ক হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে,আহত হন হুমায়ুন কবির, শোয়েব, জামাল খান রিন্টুসহ একাধিক ব্যক্তি। এমনকি প্রতিষ্ঠানেও হামলা ও ভাঙচুর চালান তারা। এ সময় ইউএনও স্যার নিজে উপস্থিত ছিলেন, একপর্যায় তিনি চলে যান। তবে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম লোটন, তিনি বলেন শাহজাহান কবিরের ছেলে শোয়েব কোনো ধরনের উচ্চবাচ্য করেননি। শুধু অধ্যক্ষকে বলেছেন স্যার আমাদেরকেও দাওয়াত দিয়েন। এর মধ্যে হুমায়ন কবিরের গ্রুপ এসে হামলা শুরু করলে পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আহসানুল কবির শোয়েব(শাহজাহান পুত্র) ঘটনাস্থলেই ইউএনও বশির গাজীর দিকে অভিযোগ তুলে বলেন ইউএনও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের ওপর হামলা করিয়েছেন। তিনি(ইউএনও) বেতাগীতে গ্রুপিং রাজনীতির ফায়দা লুটছেন। হুমায়ুন কবির মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনুষ্ঠানের ব্যানারে নাম না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজাহান কবির ও তাঁর ছেলে শোয়েব সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের নেতা—কর্মীদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করেন। আমিসহ আমার দলের কয়েকজন নেতা—কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছি। বিএনপি নেতা হজাহান কবির বলেন, ‘আমার ছেলে অনুষ্ঠান শেষে অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। খবর পেয়ে হুমায়ূন কবির লোকজন নিয়ে সেখানে তাঁদের সাথে কথা—কাটাকাটি করেন। একপর্যায়ে মারামারি শুরু হলে এতে আমার ছেলের মাথায় গুরতর আঘাত পায়। পরে ঘটনাটি পাল্টাপাল্টি হয়।


উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও বেতাগী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি (গভর্ণিং বডি) মো.বশির গাজীর কাছে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হামলার ঘটনাসহ তার বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপির একাংশের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ আমি এবং থানার ওসি ঘটনাস্থলে থেকে হামলার ঘটনাকে মোকাবেলা করেছি। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যতটুকু দায়িত্ব ঠিক তাই পালন করতে চেষ্টা করেছি। তবে আমি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করিনি বা কোনো দল—ব্যক্তির সাথে শখ্যতার প্রশ্নই আসেনা। প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে আলোচনা করে সিদ্বান্ত নেয়া হবে।
এদিকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমনটাই নিশ্চিত করেন বেতাগী থানার (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি আরো বলেন ঘটনা ও পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারতো, শক্ত হাতে প্রতিহত করেছি ফলে এ ঘটনায় আমাদের দুইজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।