ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেতাগীতে নয় বছর পর নিয়োগ পত্র পেলেন দুই যুবক

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • ৮ ভিউ

বরগুনার বেতাগী উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ জটিলতা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আট বছর ঝুলে থাকা চাকরির নিয়োগ পত্র হাতে পেয়েছেন সবুজ দাস ও সোহেল আহম্মেদ নামের ওই দুই যুবক। তবে বেতন ভাতা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তায় রয়েছেন নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া ওই দুই যুবক। এ ব্যাপারে মূখ্য কর্মকর্তা(ইউএনও) বলছেন বেতন ভাতার বিষয়ে তার কিছুই করার নেই।


সব যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগে অনিয়ম ও স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে আট বছরেও চাকরিতে যোগাদান করতে পারছিলেন না ওই দুই যুবক। তাদের পক্ষে একাধিকবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ঊর্ধ্বতন একাধিক কার্যালয় থেকে নিয়োগ কার্যকরের নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করেননি বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বরত বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সকল অনিয়ম নিয়ে ২০২৩ সালের ৩রা জুন তারিখে ‘আট বছর ঝুলে আছে দুই প্রার্থীর চাকরি’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি বরগুনা জেলা প্রশাসকের নজরে আসলে তার হস্তক্ষেপে অবশেষে নয় বছর পর গত ১১ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কতৃর্ক স্বাক্ষরিত যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র পান তারা।


নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া ওই দুই যুবক( সোহেল ও সবুজ) জানান,‘ যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের ছাড়পত্র, হাইকোর্টের আদেশ, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছি, এজন্য গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করছি। তবে নিয়োগ বোর্ডের মূখ্য কর্মকর্তা(ইউএনও) স্যারের দেয়া প্রতিবেদনে নিয়োগ সংক্রান্ত নিষ্পত্তি হওয়া মামলার আদেশ প্রত্যাখ্যান করে মামলার জটিলতা উল্লেখ করে দেয়ায়, আমরা যোগদানের পরও বেতন ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। গত দীর্ঘ নয়টি বছর এ নিয়োগ পাওয়ার প্রত্যাশায় মন্ত্রনালয়, হাইকোর্ট সহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি। সেই নিয়োগ পত্র হাতে পেলেও আদৌ বেতন ভাতা পাবো কিনা সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে এখন নতুন করে দুশ্চিন্তায় ভুগছি। আমরা যেহেতু নিয়োগপত্র পেয়েছি তবে বেতন ভাতা ভোগ করার অধিকারও আমাদের আছে।


এ বিষয়ে নিয়োগ বোর্ডের মূখ্য কর্মকর্তা(ইউএনও) ফারুক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন,‘ ওই দুই যুবককে অফিস সহায়ক পদে দীর্ঘদিন পরে নিয়োগ দেয়া হয়ছে। এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রাদী প্রতিবেদন আকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন বেতন ভাতার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলার জটিলতা ছিলো।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

বেতাগীতে নয় বছর পর নিয়োগ পত্র পেলেন দুই যুবক

আপডেট টাইম ১০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

বরগুনার বেতাগী উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ জটিলতা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আট বছর ঝুলে থাকা চাকরির নিয়োগ পত্র হাতে পেয়েছেন সবুজ দাস ও সোহেল আহম্মেদ নামের ওই দুই যুবক। তবে বেতন ভাতা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তায় রয়েছেন নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া ওই দুই যুবক। এ ব্যাপারে মূখ্য কর্মকর্তা(ইউএনও) বলছেন বেতন ভাতার বিষয়ে তার কিছুই করার নেই।


সব যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগে অনিয়ম ও স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে আট বছরেও চাকরিতে যোগাদান করতে পারছিলেন না ওই দুই যুবক। তাদের পক্ষে একাধিকবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ঊর্ধ্বতন একাধিক কার্যালয় থেকে নিয়োগ কার্যকরের নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করেননি বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বরত বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সকল অনিয়ম নিয়ে ২০২৩ সালের ৩রা জুন তারিখে ‘আট বছর ঝুলে আছে দুই প্রার্থীর চাকরি’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি বরগুনা জেলা প্রশাসকের নজরে আসলে তার হস্তক্ষেপে অবশেষে নয় বছর পর গত ১১ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কতৃর্ক স্বাক্ষরিত যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র পান তারা।


নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া ওই দুই যুবক( সোহেল ও সবুজ) জানান,‘ যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের ছাড়পত্র, হাইকোর্টের আদেশ, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছি, এজন্য গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করছি। তবে নিয়োগ বোর্ডের মূখ্য কর্মকর্তা(ইউএনও) স্যারের দেয়া প্রতিবেদনে নিয়োগ সংক্রান্ত নিষ্পত্তি হওয়া মামলার আদেশ প্রত্যাখ্যান করে মামলার জটিলতা উল্লেখ করে দেয়ায়, আমরা যোগদানের পরও বেতন ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। গত দীর্ঘ নয়টি বছর এ নিয়োগ পাওয়ার প্রত্যাশায় মন্ত্রনালয়, হাইকোর্ট সহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি। সেই নিয়োগ পত্র হাতে পেলেও আদৌ বেতন ভাতা পাবো কিনা সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে এখন নতুন করে দুশ্চিন্তায় ভুগছি। আমরা যেহেতু নিয়োগপত্র পেয়েছি তবে বেতন ভাতা ভোগ করার অধিকারও আমাদের আছে।


এ বিষয়ে নিয়োগ বোর্ডের মূখ্য কর্মকর্তা(ইউএনও) ফারুক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন,‘ ওই দুই যুবককে অফিস সহায়ক পদে দীর্ঘদিন পরে নিয়োগ দেয়া হয়ছে। এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রাদী প্রতিবেদন আকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন বেতন ভাতার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলার জটিলতা ছিলো।