বিশেষ প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বরগুনার বোতগীতে কৃষি খাতে কৃষকদের ক্ষতির পরই বেশি লোকশানে পড়েছে উপজেলার ইটভাটার মালিকরা। ইট পোড়ানোর আগে তৈরী করা কাঁচা ইট আকস্মিক বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে গলে কাদা হয়ে গেছে। দু‘একজন ভাটা মালিক পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলেও তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। ইটভাটা মালিকদের দাবী প্রাকৃতিক দূর্যোগ মিধিলিতে বেতাগীতে অবস্থিত ৬ টি ইটভাটায় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের তৈরী করা কাঁচা ইট বিনষ্ট হয়েছে, এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ওপরে।
ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান,‘ বৃষ্টির সময় কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে কিছুটা রক্ষা করতে পারলেও জোয়ারের পানিতে সেগুলো কাদামাটিতে রূপ নেয়। এ ছাড়া পোড়ানোর জন্য চুল্লিতে সাজানো ইটও গলে গেছে। একই অবস্থা প্রায় সবগুলো ইটভাটার।
ইটভাটা মালিক ফাহরিয়া সংগ্রাম আমিনুল বলেন, চুল্লিতে পোড়ার জন্য চার লাখ ইট তৈরী করেছিলাম, বিশ হাজার ইটও রক্ষা করতে পারিনি। কাদায় পরিনত হওয়া ইট দিয়ে আর ইট তৈরী করা যাবেনা, কারন মাটিতে বালু মিশ্রিত হলে সেই মাটি দিয়ে ইট কাটা যায়না।এবারের দূযোর্গে সব মিলিয়ে কমপক্ষে আমার একারই ৩০লাখ টাকার মতো ক্ষতি হলো। এই লোকশান কাটিয়ে ওঠার মতো না।
ইটভাটার মালিক আলহাজ্ব গাজী জালাল আহম্মেদ জানান, বর্তমান বাজারে একটি ইট আগুনে বসানোর আগে প্রায় ৫ টাকা খরচ হয়। এ রকম প্রায় ১০—১৫ লাখ ইট নষ্ট হয়েছে ভাটা মালিকদের। পূণরায় ইট বানাতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগবে, সাথে অতিরিক্ত মাটিরও দরকার পরবে। এ সময় চুল্লি মিস্ত্রিদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হবে। আবার মাঠ পরিষ্কার করতে এবং কারিগর ও শ্রমিকদের মিলিয়ে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রত্যেক ভাটায় বাড়তি খরচ আছে। বেতাগী উপজেলার এমএইচকে—ব্রিকস, কেজেডবি—ব্রিকস, আরএমবি—ব্রিকস, জেডএইচবি—ব্রিকস,বিইপি—ব্রিকস এই ছয়টি ইটভাটার একই অবস্থা। এসব ভাটার প্রায় সব কটিই কাদা—পানিতে একাকার। সবাইতো বলে ভাটা মালিকদের লাভের শেষ নেই, এবার একদিনের দূর্যোগেই সব মিলিয়ে ভাটা মালিকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’