স্বপন কুমার ঢালী
সিডরের ১৬ বছরেও প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বজনীন রাধাকৃষ্ণ মন্দির। ফলে মন্দির পূর্ননির্মান না করায় তাদের বাৎসরিক কির্ত্তন অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে মন্দিরের মূল মন্দিরে দৈনন্দিন পূজা ও প্রাথর্নার কার্যক্রম নিয়মানুসারে চলমান রয়েছে । জানা গেছে, বেতাগীর পৌরসভার অন্যতম একটি সার্বজনীন রাধাকৃষ্ণ মন্দির। এ মন্দির ঘরটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ।
এ মিন্দরে প্রতিদিনই প্রাথর্ণা ও বছরে বৈশাখ মাসে বাৎসরিক মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সাইক্লোন সুপার সিডরে মন্দির ঘরটি সম্পূর্ন বিধ্বস্ত হয়। মন্দির কমিটি নিজেদের অর্থায়নে মূল মন্দিরের বিগ্রহ ও পূজার সরঞ্জামাদি রাখার জন্য নির্মান করেন।
এখনো প্রার্থনার কার্যক্রম পরিচালিত হয় কিন্তু ভক্তদের জন্য বসার আটচালা ঘরটি পূর্ননির্মান না করায় তাদের বাৎসরিক মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মন্দির কমিটির সভাপতি ও কালের কন্ঠ’র উপজেলা প্রতিনিধি স্বপন কুমার ঢালী বলেন,‘ মূল মন্দিরের সামনে আটচালা ঘরটি নির্মান করতে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন।
এই অর্থ কোনভাবেই মন্দির কর্তপক্ষের বহন করা সম্ভব নয়।’ এ বিষয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দিন ফকির বলেন,‘ যাতে শিকগিরই এ মন্দরটি পূর্ননির্মান করা যায় এজন্য আমি চেষ্টা করবো।
সর্বজনীন রাধাকৃষ্ণ মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার ঢালী বলেন,‘ মন্দির পূর্ননির্মানের সাহায্যের জন্য বারবার আবেদন করেও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় নির্মান করা সম্ভব হয়নি।’
বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবির বলেন,‘ পৌরসভার তহবিলে পূর্ননির্মানের কোন বরাদ্দ থাকে না। শুধুমাত্র মেরামতের জন্য অল্প পরিমান বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে শিকগিরই যাতে মন্দির পূর্ননির্মান করা যায় এজন্য আমার সার্বিক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে।’