ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেতু ভেঙে ৯ জন নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • ১৩ ভিউ

DCIM101MEDIADJI_0897.JPG

বরগুনার আমতলী উপজেলায় সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ডুবে গিয়ে ৯ জন নিহতের ঘটনায় ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসন। সরেজমিন তদন্ত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটির সদস্যদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। শনিবার রাতে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অনিমেষ বিশ্বাসকে আহবায়ক করে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। 

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, আমতলী ও তালতলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম।

খোঁজ  নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তক্তাবুনিয়া নামক এলাকার বাসিন্দা মাসুমবিল্লাহর মেয়ে হুমায়রা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার পৌরশহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খোন্তাকাটা নামক এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদের ছেলে জিএম সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে বিয়ে হয়। পরে শনিবার দুপুরে মাসুমবিল্লাহ তার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠানে স্বজনদের নিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও অটোতে করে যাচ্ছিলেন। পথে আমতলী উপজেলার হলদিয়ার চাওড়া নামক এলাকার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাতে আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন কনে পক্ষের মোয়াজ্জেম হোসেন নামের একজন স্বজন।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর আমরা তদন্ত কমিটির গঠন করেছি। আজ থেকে কমিটির সদস্যরা তাদের কাজ শুরু করেছন। কমিটর সদস্যরা আমতলীতে মিটিং করবেন। এছাড়াও এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার কাছে গিয়ে তদন্ত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

সেতু ভেঙে ৯ জন নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি

আপডেট টাইম ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

বরগুনার আমতলী উপজেলায় সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ডুবে গিয়ে ৯ জন নিহতের ঘটনায় ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসন। সরেজমিন তদন্ত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটির সদস্যদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। শনিবার রাতে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অনিমেষ বিশ্বাসকে আহবায়ক করে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। 

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, আমতলী ও তালতলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম।

খোঁজ  নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তক্তাবুনিয়া নামক এলাকার বাসিন্দা মাসুমবিল্লাহর মেয়ে হুমায়রা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার পৌরশহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খোন্তাকাটা নামক এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদের ছেলে জিএম সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে বিয়ে হয়। পরে শনিবার দুপুরে মাসুমবিল্লাহ তার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠানে স্বজনদের নিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও অটোতে করে যাচ্ছিলেন। পথে আমতলী উপজেলার হলদিয়ার চাওড়া নামক এলাকার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাতে আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন কনে পক্ষের মোয়াজ্জেম হোসেন নামের একজন স্বজন।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর আমরা তদন্ত কমিটির গঠন করেছি। আজ থেকে কমিটির সদস্যরা তাদের কাজ শুরু করেছন। কমিটর সদস্যরা আমতলীতে মিটিং করবেন। এছাড়াও এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার কাছে গিয়ে তদন্ত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।