ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনোনয়নযুদ্ধে দুই ভাই, বিব্রত আ.লীগ: পটুয়াখালী-৪

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • ১০ ভিউ

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে বড় ভাই সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে নেমেছেন ছোট ভাই সাবেক আমলা হাবিবুর রহমান মিলন তালুকদার। এ নিয়ে পটুয়াখালী-৪ আসনের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। পারিবারিক বিরোধে তারা পরস্পরের মুখোমুখি নাকি সংসদ-সদস্য পদ নিজেদের মধ্যে রাখতে এমন করছেন-তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও এ নিয়ে দুই ভাইয়ের তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী দলের কাছে মনোনয়ন চাইছেন বলে জানা গেছে।

বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের মধ্যে বাণিজ্যকেন্দ্র বিবেচনায় পটুয়াখালী-৪ আসন এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাগরপারের কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা নিয়ে এ আসন গঠিত। এ এলাকায় রয়েছে-পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা ও সমুদ্রবন্দর পায়রা। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গড়ে ওঠা আরও নানা শিল্প প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ হতে থাকা এলাকাটি ক্রমেই হয়ে উঠছে দক্ষিণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল। এ কারণে সবার নজর এখন এ এলাকার দিকে। আর এখানে মনোনয়ন বিরোধে জড়িয়েছেন তিনবারের সাবেক এমপি মাহবুব এবং তার ভাই মিলন। যদিও সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে এখানে মাহবুব দলীয় মনোনয়ন পাননি।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ফোনালাপে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবের ‘রাতে ভোট হয়েছে’ মন্তব্যে তার দলও বিপাকে পড়েছে। দল থেকে তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে কলাপাড়া উপজেলা ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কোনো উত্তর আসেনি। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মাহবুব ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। মাত্র কয়েক বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া মাহবুবকে নিয়ে দেশের সবগুলো গণমাধ্যম বড় বড় সংবাদ ছাপে। তার দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করে। এখনো মামলায় তিনি হাজিরা দিতে আদালতে যাননি। এ পর্যন্ত ৯ বার উচ্চ আদালত থেকে তিনি স্থগিতাদেশ এনেছেন।

বড় ভাই মাহবুবের যখন এমন পরিস্থিতি ঠিক সে সময়ে নৌকা পেতে মঞ্চে এসেছেন তার ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান মিলন। কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, পৌর ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, মাত্র কয়েক মাস আগেও মিলনকে ভালো করে চিনত না কেউ। হঠাৎ শুনি তিনি নাকি মনোনয়নপ্রার্থী। অথচ দলে তার প্রাথমিক সদস্য পদও ছিল না। ৪-৫ মাস আগে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মাধ্যমে তিনি কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। ইদানীং মাঝে মধ্যে আসছেন এলাকায়। নিজেকে নৌকার প্রার্থী হিসাবে প্রচার করার পাশাপাশি চেষ্টা চালাচ্ছেন কেন্দ্র কমিটি করাসহ বিভিন্ন প্রস্তুতির। এমপি-প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মাহবুব এ ভাইয়ের ক্ষমতার বড়াই দেখাতেন।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে কোনো বিরোধ আছে বলে শুনিনি। ছোট ভাই মিলন এখানে প্রার্থী হতে চান তাও কানে আসেনি। ফোনালাপে মাহবুবের দল বিরোধী বক্তব্য ও তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ হওয়ার পরপরই হঠাৎ শুনি মনোনয়নযুদ্ধে নেমেছেন ছোট ভাই মিলন। যতটুকু জানি বড় ভাই মাহবুবের পাশাপাশি ছোট ভাই মিলনও দলীয় মনোনয়নের আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্র থেকে।

কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব তালুকদার বলেন, সোমবার পর্যন্ত এ আসনের জন্য ২০ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সবচেয়ে অবাক হয়েছি-সাবেক এমপি মাহবুবের পাশাপাশি তার ছোট ভাই মিলনের মনোনয়ন ফরম কেনায়। আমরা তাকে প্রাথমিক সদস্য পদ দেইনি। তবে জেলা নেতাদের ম্যানেজ করে তিনি এখানে ঢুকেছেন। মাহবুবকে তো বহিষ্কারই করা হয়েছে। সাবেক আমলা হিসাবে মিলনের আচরণ অনেকটা মালিক-কর্মচারীর মতো। নিজের মতো তিনি ঘুরে বেড়ান। দল অথবা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। দলীয় কর্মসূচিতেও তিনি অংশ নেন না।

কলাপাড়ার পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আসলেই বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছি। হঠাৎ উড়ে এসে একজন বলছেন-তিনি নৌকার মনোনয়ন চান। এটি তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নাকি ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা-সেটা তারাই বলতে পারবেন। তবে এসব কর্মকাণ্ড দলের জন্য সুখকর নয়।

রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, এলাকার এমপির দুর্নীতি নিয়ে যখন মোটা মোটা হরফে খবর ছাপা হয় তখন লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যায়। আমরা যখন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারায় এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি কোনো বিতর্ক ছাড়াই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছি তখন দুই ভাইয়ের এসব কর্মকাণ্ড আমাদের অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছে। কেন যেন মনে হচ্ছে-এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে এটা তাদের পারিবারিক ষড়যন্ত্র। অবশ্য কোনো কিছুই দলীয় সভাপতির অজানা নয়। তিনি বুঝেশুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন-এটাই আমাদের বিশ্বাস।

এ বিষয়ে আলাপকালে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, দলের প্রতি ত্যাগ এবং আজন্ম আওয়ামী লীগার হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন চাইছি। আমার পরিবার টানা ৭০ বছর ধরে কলাপাড়া-রাঙ্গাবালীতে দলের দেখভাল করছে। আমি ছাড়া কে মনোনয়ন চাইল, আর কে চাইল না সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলে অনেকেই প্রার্থী হতে চাইতে পারেন। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।

এ বিষয়ে জানতে হাবিবুর রহমান মিলন তালুকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। খুদেবার্তা পাঠানো হলেও মেলেনি তার কোনো জবাব।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

মনোনয়নযুদ্ধে দুই ভাই, বিব্রত আ.লীগ: পটুয়াখালী-৪

আপডেট টাইম ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে বড় ভাই সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে নেমেছেন ছোট ভাই সাবেক আমলা হাবিবুর রহমান মিলন তালুকদার। এ নিয়ে পটুয়াখালী-৪ আসনের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। পারিবারিক বিরোধে তারা পরস্পরের মুখোমুখি নাকি সংসদ-সদস্য পদ নিজেদের মধ্যে রাখতে এমন করছেন-তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও এ নিয়ে দুই ভাইয়ের তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী দলের কাছে মনোনয়ন চাইছেন বলে জানা গেছে।

বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের মধ্যে বাণিজ্যকেন্দ্র বিবেচনায় পটুয়াখালী-৪ আসন এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাগরপারের কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা নিয়ে এ আসন গঠিত। এ এলাকায় রয়েছে-পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা ও সমুদ্রবন্দর পায়রা। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গড়ে ওঠা আরও নানা শিল্প প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ হতে থাকা এলাকাটি ক্রমেই হয়ে উঠছে দক্ষিণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল। এ কারণে সবার নজর এখন এ এলাকার দিকে। আর এখানে মনোনয়ন বিরোধে জড়িয়েছেন তিনবারের সাবেক এমপি মাহবুব এবং তার ভাই মিলন। যদিও সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে এখানে মাহবুব দলীয় মনোনয়ন পাননি।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ফোনালাপে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবের ‘রাতে ভোট হয়েছে’ মন্তব্যে তার দলও বিপাকে পড়েছে। দল থেকে তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে কলাপাড়া উপজেলা ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কোনো উত্তর আসেনি। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মাহবুব ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। মাত্র কয়েক বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া মাহবুবকে নিয়ে দেশের সবগুলো গণমাধ্যম বড় বড় সংবাদ ছাপে। তার দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করে। এখনো মামলায় তিনি হাজিরা দিতে আদালতে যাননি। এ পর্যন্ত ৯ বার উচ্চ আদালত থেকে তিনি স্থগিতাদেশ এনেছেন।

বড় ভাই মাহবুবের যখন এমন পরিস্থিতি ঠিক সে সময়ে নৌকা পেতে মঞ্চে এসেছেন তার ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান মিলন। কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, পৌর ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, মাত্র কয়েক মাস আগেও মিলনকে ভালো করে চিনত না কেউ। হঠাৎ শুনি তিনি নাকি মনোনয়নপ্রার্থী। অথচ দলে তার প্রাথমিক সদস্য পদও ছিল না। ৪-৫ মাস আগে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মাধ্যমে তিনি কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। ইদানীং মাঝে মধ্যে আসছেন এলাকায়। নিজেকে নৌকার প্রার্থী হিসাবে প্রচার করার পাশাপাশি চেষ্টা চালাচ্ছেন কেন্দ্র কমিটি করাসহ বিভিন্ন প্রস্তুতির। এমপি-প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মাহবুব এ ভাইয়ের ক্ষমতার বড়াই দেখাতেন।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে কোনো বিরোধ আছে বলে শুনিনি। ছোট ভাই মিলন এখানে প্রার্থী হতে চান তাও কানে আসেনি। ফোনালাপে মাহবুবের দল বিরোধী বক্তব্য ও তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ হওয়ার পরপরই হঠাৎ শুনি মনোনয়নযুদ্ধে নেমেছেন ছোট ভাই মিলন। যতটুকু জানি বড় ভাই মাহবুবের পাশাপাশি ছোট ভাই মিলনও দলীয় মনোনয়নের আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্র থেকে।

কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব তালুকদার বলেন, সোমবার পর্যন্ত এ আসনের জন্য ২০ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সবচেয়ে অবাক হয়েছি-সাবেক এমপি মাহবুবের পাশাপাশি তার ছোট ভাই মিলনের মনোনয়ন ফরম কেনায়। আমরা তাকে প্রাথমিক সদস্য পদ দেইনি। তবে জেলা নেতাদের ম্যানেজ করে তিনি এখানে ঢুকেছেন। মাহবুবকে তো বহিষ্কারই করা হয়েছে। সাবেক আমলা হিসাবে মিলনের আচরণ অনেকটা মালিক-কর্মচারীর মতো। নিজের মতো তিনি ঘুরে বেড়ান। দল অথবা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। দলীয় কর্মসূচিতেও তিনি অংশ নেন না।

কলাপাড়ার পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আসলেই বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছি। হঠাৎ উড়ে এসে একজন বলছেন-তিনি নৌকার মনোনয়ন চান। এটি তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নাকি ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা-সেটা তারাই বলতে পারবেন। তবে এসব কর্মকাণ্ড দলের জন্য সুখকর নয়।

রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, এলাকার এমপির দুর্নীতি নিয়ে যখন মোটা মোটা হরফে খবর ছাপা হয় তখন লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যায়। আমরা যখন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারায় এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি কোনো বিতর্ক ছাড়াই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছি তখন দুই ভাইয়ের এসব কর্মকাণ্ড আমাদের অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছে। কেন যেন মনে হচ্ছে-এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে এটা তাদের পারিবারিক ষড়যন্ত্র। অবশ্য কোনো কিছুই দলীয় সভাপতির অজানা নয়। তিনি বুঝেশুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন-এটাই আমাদের বিশ্বাস।

এ বিষয়ে আলাপকালে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, দলের প্রতি ত্যাগ এবং আজন্ম আওয়ামী লীগার হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন চাইছি। আমার পরিবার টানা ৭০ বছর ধরে কলাপাড়া-রাঙ্গাবালীতে দলের দেখভাল করছে। আমি ছাড়া কে মনোনয়ন চাইল, আর কে চাইল না সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলে অনেকেই প্রার্থী হতে চাইতে পারেন। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।

এ বিষয়ে জানতে হাবিবুর রহমান মিলন তালুকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। খুদেবার্তা পাঠানো হলেও মেলেনি তার কোনো জবাব।