স্বপন কুমার ঢালী, ঢাকেশ্বরী থেকে :
মৃণ্ময়ী মা সন্ন্যাসী ও ভক্তদের ভাবে হয়ে ওঠেন চিন্ময়ী। ভক্তিভাবই এই পূজার মূল মন্ত্র। রাজসিক, তামসিক, আলোর ঝলকানি, আধুনিকতাকে দূরে রেখে সম্পূর্ণ সাত্ত্বিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে পূজিত হচ্ছেন দেবী দুর্গা।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পরে মহাষ্টমীতে ভক্তের ঢল নেমেছে ‘ঢাকেশ্বরী’ পূজা মন্দিরে। আনন্দোৎসব বলতে ভক্তকুল মায়ের আবির্ভাব উপলব্ধি করেন এখানে। সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল রবিবার মহাষ্টমীতে সন্ধ্যার পরে ‘ঢাকেশ্বরী’ জাতীয় পূজা মন্দির ভক্তদের ঢল নেমেছে। শিশু, নারী, পুরুষ, বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষের ভিড় দেখা গেছে। মায়ের পায়ে অঞ্জলি নিয়ে আর্শীবাদ শেষে প্রসাদ নিচ্ছেন ভক্তরা। মহাষ্টমীতে যেন জনজোয়ার। ভিড় সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইন শৃংখলা ও স্বেচ্ছাসেবকদের।
শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয় সকল ধর্মের মানুষ ছুটে এসেছে। এ যেন এক মহামিলন। আজ ঢাকেশ্বরীতে পূজা দেখতে এসে লিপিকা মন্ডল অর্পিতা বলেন, প্রতি বছর গ্রামে পূজায় থাকতে হচ্ছে, কিন্তু এবারে মায়ের আর্শীবাদ কামনায় মহাষ্টমীতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় পূজা মন্দিরে এসেছি। তবে এখানে এসে খুব ভালো লাগলো। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে সব ধর্মের মানুষ ছুটে এসেছে, আনন্দ ভাগাভাগি করতে। এ যেন বাঙ্গালী সংস্কৃতির মহামিলনের পটভূমি। মায়ের কাছে প্রাথনা সকল অশুভ শক্তির বিনাশ ধ্বংস হোক, জগতে সকল শুভ ও কল্যানের বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক।’