বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে পড়ছেন স্থানীয়রা। বাধ্য হয়ে অনেকেই ছুটেন জেলা সদরের হাসপাতালে। এতে রোগীদের অনেক সময় ও অর্থের অপচয় হয় দেখে অনেকেই খরচ বাঁচাতে শরণাপন্ন হচ্ছেন গ্রাম্য কবিরাজের। এতে করে অজান্তেই বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি।
স্থানীয়রা জানান, আমতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হলেও সেখানে জলাতঙ্কের কোন প্রতিষেধক না থাকায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিনটির সরবরাহ না থাকায় বাহিরের ঔষধের দোকান থেকে তা অতিরিক্ত দামে কিনতে হয়। অন্যথায় দেড়শ থেকে দুই শত টাকা খরচ করে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয় বরগুনা সদর হাসপাতালে। অনেকক্ষেত্রে কুকুর বিড়াল কামড়ালেও টাকার অভাবে ভাকসিন দিতে পারছে না অসচ্ছল রোগীরা। কেউ কেউ আবার না বুঝেই শরণাপন্ন হচ্ছেন গ্রাম্য কবিরাজের কাছে।
পৌর শহরের সবুজবাগের বিড়ালের কামড়ানো লাভলী আক্তার বলেন, জেলা সদর হাসপাতালে যাওয়ার চেয়ে ওষুধ কিনে টিকা দিয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হলে আমার আড়াই হাজার টাকা খরচ হতো না। আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের হাসিনা আক্তার বলেন, আমাকে বিড়াল কামড় দিয়েছেল। এজন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে গিয়ে এর প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিতে হয়েছে। যদি আমতলী স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে এই প্রতিষেধক পেতাম তাহলে বাড়তি খরচ হতো না। সময়ও বাঁচত। হলদিয়া ইউনিয়নের কবির বলেন, মাস খানেক আগে আমার ছেলেকে কুকুরে কামড় দিয়েছিল। বরগুনা সদর হাসপাতালে যাওয়ার টাকা ছিল না। তাই এলাকার এক কবিরাজের কাছে গেলে তিনি ঝাড়ফুঁক ও মিঠা পড়া দেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনায়েম সাদ বলেন, জেলা হাসপাতালে কুকুরে কামড়ের ভ্যাকসিন থাকে। উপজেলা পর্যায়ে তা সরবরাহ থাকে না। তিন মাস ছয় মাস পর পর ৪০-৫০ টি টিকা পেয়ে থাকি। যেগুলো আসে তা কয়েকদিনে শেষ হয়ে যায়। তাইতো রোগীদের যথাযথ টিকা দিতে পারি না। এমন রোগী আসলে আমরা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।