ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই ছেলেসহ জেকিকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগ্নি জামাই

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • ১০ ভিউ

ডেস্ক নিউজঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মা ও দুই ছেলেকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বড় বোনের জামাতা (ভাগ্নি জামাই) ঘাতক জহিরুল ইসলামকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় নরসিংদী জেলার মাধবদীর থানার টাটাপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে। বুধবার সকালে জহিরুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়। মা ও দুই ছেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। জহিরুল ইসলামের বাড়ি নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগীরচর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল খালেক।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী দক্ষিণপাড়ার সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের ভবনের দরজা ভেঙে মা ও দুই ছেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ।।মৃত জেকি আক্তারের ভাই শামীম আহমেদ বলেন, জহিরুল আমার বড় বোন শিল্পীর মেয়ে আনিকা আক্তারের স্বামী। আমার ভাগ্নির বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে সমস্যা হওয়ার কারণে আমার ভাগ্নি প্রায়ই আমার বোনের বাড়িতে এসে থাকত। জহিরুল এ বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করত। সে সোমবার সকালে ৮টার দিকে আমার বোন জেকির চর ছয়ানীর গ্রামের বাড়িতে আসে, নাস্তা খেয়ে সে আবার চলে যায়। আবার সে রাত ৮টার দিকে আমার বোনের বাড়িতে আসে। আমার বোনের বাড়িতে এসে বিষয়টি তার শাশুড়ি ও বউকে না জানাতে বলে। আমার বোন বিষয়টি আমার বড় বোন ও ভাগ্নিকে জানালে এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বঁটি দিয়ে কুপিয়ে আমার বোন ও দুই ভাগ্নেকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে আমার বড় বোনের বাসা মাধবদীতে যায়, সেখান থেকে পুলিশ তাকে মঙ্গলবার রাতে আটক করে নিয়ে আসে। ভাগ্নির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আমার ভাগ্নি বেশিরভাগ সময় আমার বোনের বাড়িতে থাকত, এ নিয়ে জামাই ও ভাগ্নির মধ্যে ঝামেলা চলে আসছিল।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বলেন, এই শোক সইতে পারব না। আমার মেয়ে ও নাতিদেরকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে জহিরুল। আমার নাতিনের বিয়ের পর থেকে একের পর এক অশান্তি সৃষ্টি করে আসছিল জহিরুল। আমার নাতনিটারে তার কাছে বিয়ে দিয়ে আর অশান্তির শেষ নাই। এখন আমার মেয়ে ও নাতিরে খুন করেছে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, জহিরুল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের আরও কার্যক্রম চলমান আছে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী দক্ষিণপাড়ায় ঘরের দরজা ভেঙে জেকি আক্তার ও তার দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

দুই ছেলেসহ জেকিকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগ্নি জামাই

আপডেট টাইম ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

ডেস্ক নিউজঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মা ও দুই ছেলেকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বড় বোনের জামাতা (ভাগ্নি জামাই) ঘাতক জহিরুল ইসলামকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় নরসিংদী জেলার মাধবদীর থানার টাটাপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে। বুধবার সকালে জহিরুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়। মা ও দুই ছেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। জহিরুল ইসলামের বাড়ি নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগীরচর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল খালেক।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী দক্ষিণপাড়ার সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের ভবনের দরজা ভেঙে মা ও দুই ছেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ।।মৃত জেকি আক্তারের ভাই শামীম আহমেদ বলেন, জহিরুল আমার বড় বোন শিল্পীর মেয়ে আনিকা আক্তারের স্বামী। আমার ভাগ্নির বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে সমস্যা হওয়ার কারণে আমার ভাগ্নি প্রায়ই আমার বোনের বাড়িতে এসে থাকত। জহিরুল এ বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করত। সে সোমবার সকালে ৮টার দিকে আমার বোন জেকির চর ছয়ানীর গ্রামের বাড়িতে আসে, নাস্তা খেয়ে সে আবার চলে যায়। আবার সে রাত ৮টার দিকে আমার বোনের বাড়িতে আসে। আমার বোনের বাড়িতে এসে বিষয়টি তার শাশুড়ি ও বউকে না জানাতে বলে। আমার বোন বিষয়টি আমার বড় বোন ও ভাগ্নিকে জানালে এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বঁটি দিয়ে কুপিয়ে আমার বোন ও দুই ভাগ্নেকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে আমার বড় বোনের বাসা মাধবদীতে যায়, সেখান থেকে পুলিশ তাকে মঙ্গলবার রাতে আটক করে নিয়ে আসে। ভাগ্নির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আমার ভাগ্নি বেশিরভাগ সময় আমার বোনের বাড়িতে থাকত, এ নিয়ে জামাই ও ভাগ্নির মধ্যে ঝামেলা চলে আসছিল।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বলেন, এই শোক সইতে পারব না। আমার মেয়ে ও নাতিদেরকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে জহিরুল। আমার নাতিনের বিয়ের পর থেকে একের পর এক অশান্তি সৃষ্টি করে আসছিল জহিরুল। আমার নাতনিটারে তার কাছে বিয়ে দিয়ে আর অশান্তির শেষ নাই। এখন আমার মেয়ে ও নাতিরে খুন করেছে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, জহিরুল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের আরও কার্যক্রম চলমান আছে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী দক্ষিণপাড়ায় ঘরের দরজা ভেঙে জেকি আক্তার ও তার দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।