ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা শুরু

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • ১১ ভিউ

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে একদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার সকাল থেকে সচল হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। জেটিতে ভিড়ছে জাহাজ। শুরু হয়েছে পণ্য ওঠা-নামা ও ইয়ার্ড থেকে পণ্য ডেলিভারি (সরবরাহ)। ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরকে প্রথমে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত ও পরে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল থেকে বন্দরের নিজস্ব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় পণ্য ওঠা-নামা। জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয় বহির্নোঙরে। আর বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সাগরের আরও গভীরে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অবশ্য ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার পর আবহাওয়া অধিদপ্তর বিপদ সংকেত প্রত্যাহার করে নেয়। সে সঙ্গে বন্দরও উঠিয়ে নেয় নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-৩’।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, শনিবার সকালে বন্দরের কাজকর্ম ফের শুরু হয়। সকাল ১১টা থেকে দিনের প্রথম জোয়ারের সহায়তায় বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া জাহাজের কয়েকটি জেটিতে ফিরিয়ে আনা হয়। পর্যায়ক্রমে বাকি জাহাজগুলোও ভেড়ানো হয় জেটিতে। একইসঙ্গে শুরু হয় জাহাজে পণ্য ওঠা-নামা।

এদিকে সাগর শান্ত হয়ে আসায় তীরে অবস্থানরত লাইটার জাহাজগুলো সকাল থেকে পণ্য খালাস করতে বহির্নোঙরে যাওয়া শুরু করে। ওই এলাকায় অবস্থানরত মাদার ভেসেল থেকে লাইটারিংয়ের মাধ্যমে পণ্য খালাস শুরু হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শুক্রবার বন্দরের ভেতর থেকে পণ্য ডেলিভারি হয়েছে সীমিত আকারে। এ কারণে শনিবার সকাল থেকে ডেলিভারির চাপ বেড়েছে। পণ্য লোড করার জন্য শত শত ট্রাক বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, জাহাজে পণ্য ওঠা-নামা ও ডেলিভারি স্বাভাবিকভাবে চলছে।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা শুরু

আপডেট টাইম ১১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে একদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার সকাল থেকে সচল হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। জেটিতে ভিড়ছে জাহাজ। শুরু হয়েছে পণ্য ওঠা-নামা ও ইয়ার্ড থেকে পণ্য ডেলিভারি (সরবরাহ)। ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরকে প্রথমে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত ও পরে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল থেকে বন্দরের নিজস্ব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় পণ্য ওঠা-নামা। জেটিতে অবস্থানরত ২২টি জাহাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয় বহির্নোঙরে। আর বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সাগরের আরও গভীরে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অবশ্য ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার পর আবহাওয়া অধিদপ্তর বিপদ সংকেত প্রত্যাহার করে নেয়। সে সঙ্গে বন্দরও উঠিয়ে নেয় নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-৩’।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, শনিবার সকালে বন্দরের কাজকর্ম ফের শুরু হয়। সকাল ১১টা থেকে দিনের প্রথম জোয়ারের সহায়তায় বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া জাহাজের কয়েকটি জেটিতে ফিরিয়ে আনা হয়। পর্যায়ক্রমে বাকি জাহাজগুলোও ভেড়ানো হয় জেটিতে। একইসঙ্গে শুরু হয় জাহাজে পণ্য ওঠা-নামা।

এদিকে সাগর শান্ত হয়ে আসায় তীরে অবস্থানরত লাইটার জাহাজগুলো সকাল থেকে পণ্য খালাস করতে বহির্নোঙরে যাওয়া শুরু করে। ওই এলাকায় অবস্থানরত মাদার ভেসেল থেকে লাইটারিংয়ের মাধ্যমে পণ্য খালাস শুরু হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শুক্রবার বন্দরের ভেতর থেকে পণ্য ডেলিভারি হয়েছে সীমিত আকারে। এ কারণে শনিবার সকাল থেকে ডেলিভারির চাপ বেড়েছে। পণ্য লোড করার জন্য শত শত ট্রাক বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, জাহাজে পণ্য ওঠা-নামা ও ডেলিভারি স্বাভাবিকভাবে চলছে।