ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেতাগীতে অর্পিত সম্পত্তির গাছ কেটে বিক্রি

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৫ ভিউ

অর্পিত সম্পত্তির কর্তনকৃত গাছের একাধিক খন্ড।


বরগুনার বেতাগীতে সরকারি ভিপি(অর্পিত) সম্পত্তির লাখ লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে অভিযোগের মাস পার হলেও শেষ হয়নি তদন্ত, কিংবা নেয়া হয়নি কোনো আইনী ব্যবস্থা। তবে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন।
জানা যায়, উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীনস্ত বিবিচিনি মৌজার ৬০৭ ও ৬০৮নং মৌজার ভিপি(অর্পিত সম্পত্তি) কর্তৃক ৫৪৫বি/৭২—৭৩নং কেসের ০.৪৬ একর সরকারি সম্পত্তিতে থাকা দুই লাখ টাকা মূল্যের গাছ চুরি করে কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা বিমল কান্তি শীলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বেতাগী সহকারি কমিশনার(ভূমি) কার্যালয়ে অভিযোগ করা হলেও কোনো ধরনের আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কতৃর্পক্ষ, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। কতৃর্পক্ষের অনুমতি ছাড়া অর্পিত সম্পত্তির গাছ কাটার দায়ে তিন মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সহ লিজ বাতিলের বিধান থাকলেও ঘটনার মাস পার হলেও নেয়া হয়নি কোনো ধরনের আইনী ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই জমিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ। যার বর্তমান বাজার কয়েক লাখ টাকার উর্দ্ধে। তবে কতৃর্পক্ষের অনুমতি ছাড়াই অর্পিত ওই সম্পত্তিতে রোপিত ছোট বড় ১০—১৫টি গাছ কেটেছেন স্থানীয় বাসিন্দা বিমল কান্তি শীল, যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্ঠ অফিস সুত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে এসব জমি ভিপি তালিকা ভুক্ত হয়ে গেজেট প্রাকাশিত হয়। সরকারি বিধিমোতাবেক এসব সরকারি সম্পত্তি ইজারা গ্রহীতাগণ সরকার পক্ষে দখল নিয়ন্ত্রন সহ ভোগদখল করবেন। তবে এসব সম্পত্তির আকৃতি, প্রকৃতি পরিবর্তন বা কোন ক্ষতিসাধন করতে পারবেন না। তবে বিধি মোতাবেক লিজ বাতিল করা হবে।
উপজেলার বিবিচিনি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সুখরঞ্জন শীলের ছেলে শ্যামল চন্দ্র রায় জানান, ওই জমিতে রোপিত মেহগনি,কড়ই ও চাম্বল শ্রেণীর একাধিক গাছ কেটে বিক্রি করেছেন বিমল কান্তি শীল। সরকারি আইন অমান্য করে সরকারি গাছ বিক্রির বিষয়টি বেতাগী সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে অভিযোগ করি। তারা ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেলেও অজ্ঞাত কারনে আজও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
অভিযুক্ত বিমল কান্তি শীল বলেন,‘ আমি গাছ কেটেছি সত্য তবে চুরি করে বিক্রি করিনি, আমার বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন,‘ অর্পিত সম্পত্তির গাছ কাটার খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে সত্যতা পাওয়া গেছে। কর্তনকৃত ৩৯ খন্ড গাছ জিম্মায় রাখা আছে, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে লিজ বাতিলের সুপারিশ সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

বেতাগীতে অর্পিত সম্পত্তির গাছ কেটে বিক্রি

আপডেট টাইম ১১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বরগুনার বেতাগীতে সরকারি ভিপি(অর্পিত) সম্পত্তির লাখ লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে অভিযোগের মাস পার হলেও শেষ হয়নি তদন্ত, কিংবা নেয়া হয়নি কোনো আইনী ব্যবস্থা। তবে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন।
জানা যায়, উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীনস্ত বিবিচিনি মৌজার ৬০৭ ও ৬০৮নং মৌজার ভিপি(অর্পিত সম্পত্তি) কর্তৃক ৫৪৫বি/৭২—৭৩নং কেসের ০.৪৬ একর সরকারি সম্পত্তিতে থাকা দুই লাখ টাকা মূল্যের গাছ চুরি করে কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা বিমল কান্তি শীলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বেতাগী সহকারি কমিশনার(ভূমি) কার্যালয়ে অভিযোগ করা হলেও কোনো ধরনের আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কতৃর্পক্ষ, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। কতৃর্পক্ষের অনুমতি ছাড়া অর্পিত সম্পত্তির গাছ কাটার দায়ে তিন মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সহ লিজ বাতিলের বিধান থাকলেও ঘটনার মাস পার হলেও নেয়া হয়নি কোনো ধরনের আইনী ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই জমিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ। যার বর্তমান বাজার কয়েক লাখ টাকার উর্দ্ধে। তবে কতৃর্পক্ষের অনুমতি ছাড়াই অর্পিত ওই সম্পত্তিতে রোপিত ছোট বড় ১০—১৫টি গাছ কেটেছেন স্থানীয় বাসিন্দা বিমল কান্তি শীল, যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্ঠ অফিস সুত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে এসব জমি ভিপি তালিকা ভুক্ত হয়ে গেজেট প্রাকাশিত হয়। সরকারি বিধিমোতাবেক এসব সরকারি সম্পত্তি ইজারা গ্রহীতাগণ সরকার পক্ষে দখল নিয়ন্ত্রন সহ ভোগদখল করবেন। তবে এসব সম্পত্তির আকৃতি, প্রকৃতি পরিবর্তন বা কোন ক্ষতিসাধন করতে পারবেন না। তবে বিধি মোতাবেক লিজ বাতিল করা হবে।
উপজেলার বিবিচিনি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সুখরঞ্জন শীলের ছেলে শ্যামল চন্দ্র রায় জানান, ওই জমিতে রোপিত মেহগনি,কড়ই ও চাম্বল শ্রেণীর একাধিক গাছ কেটে বিক্রি করেছেন বিমল কান্তি শীল। সরকারি আইন অমান্য করে সরকারি গাছ বিক্রির বিষয়টি বেতাগী সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে অভিযোগ করি। তারা ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেলেও অজ্ঞাত কারনে আজও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
অভিযুক্ত বিমল কান্তি শীল বলেন,‘ আমি গাছ কেটেছি সত্য তবে চুরি করে বিক্রি করিনি, আমার বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন,‘ অর্পিত সম্পত্তির গাছ কাটার খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে সত্যতা পাওয়া গেছে। কর্তনকৃত ৩৯ খন্ড গাছ জিম্মায় রাখা আছে, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে লিজ বাতিলের সুপারিশ সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।