ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল বোর্ডের ২২২ বিদ্যালয়: শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • ১৫ ভিউ

রিশাল শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষার্থী পাশের হার কমে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর ছিল ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। একইভাবে কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও। এ বছর অংশগ্রহণকারী ৮৭ হাজার ৭৩৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ১৪৫ জন। গত বছর যা ছিল ৬ হাজার ৩১১ জন। পাশের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে এবারও এ বোর্ডে মেয়েরা এগিয়ে আছে।

২২২টি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। আর পাশের হারের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে পিরোজপুর জেলা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরিশাল, তৃতীয় অবস্থানে ঝালকাঠি এবং সব শেষে রয়েছে ভোলা জেলা। রোববার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।

তিনি জানান, বরিশালে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৫৮ জন থাকলেও অংশ নিয়েছে ৮৭ হাজার ৭৩৪ জন। আর পাশ করেছে ৭৮ হাজার ১৯৭ জন। বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে এ বছর ১ হাজার ৪৮৯টি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে। এ বছর তিনজন পরীক্ষার্থী জেলখানায় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, এ বছর অসম্ভব ভালো ফল হয়েছে। গত বছরের চেয়ে পাশের হার কমলেও ফলাফলের গুণগত মান বেড়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত পথেই আমরা হেঁটেছি। এ কারণে ফলাফলের বিপর্যয় ঘটেনি। এছাড়া শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভালো ফল করার প্রবল ইচ্ছা ছিল।

অরুন কুমার গাইন জানান, এ বছর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশের হার সব থেকে বেশি। এরপর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের অবস্থান। এ বছর গড় পাশের হারে পিরোজপুর জেলার অবস্থান রয়েছে শীর্ষে। এ জেলায় মোট পাশের হার ৯০ দশমিক ৯৭। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বরিশালের পাশের হার ৯০ দশমিক ৬৪। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ঝালকাঠির পাশের হার ৯০ দশমিক ৫২। চতুর্থ অবস্থানে থাকা পটুয়াখালীর পাশের হার ৮৩ দশমিক ৮৯। পঞ্চম অবস্থানে থাকা বরগুনার পাশের হার ৮৯ দশমিক ৬০ এবং সবার শেষে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা ভোলার পাশে হার ৮৯ দশমিক ২৭ শতাংশ।

জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে মোট ৫ হাজার ২৩৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া মানবিক বিভাগ থেকে ৭০২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২০৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শতভাগ পাশ ২২২ বিদ্যালয় : এসএসসি পরীক্ষায় ২২২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে। ১ হাজার ৪৮৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২২টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ৮৩টি, এরপর পিরোজপুর ৫১টি বিদ্যালয়। এছাড়া ভোলার ২৭টি, ঝালকাঠির ২৬টি, বরগুনার ২১টি ও পটুয়াখালীর ১৪টি বিদ্যালয় রয়েছে শতভাগ পাশের তালিকায়। এবার শতভাগ ফেল করেছে এমন কোনো বিদ্যালয় নেই। এছাড়া বোর্ডের আওতায় ৬ জেলায় ১ হাজার ২৪৮টি বিদ্যালয়ে ৫০ শতাংশের ওপরে শতভাগের নিচে পাশ করেছে। আর ৫০ শতাংশের নিচে পাশ করেছে ২০টি বিদ্যালয়ে।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

বরিশাল বোর্ডের ২২২ বিদ্যালয়: শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ

আপডেট টাইম ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

রিশাল শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষার্থী পাশের হার কমে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর ছিল ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। একইভাবে কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও। এ বছর অংশগ্রহণকারী ৮৭ হাজার ৭৩৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ১৪৫ জন। গত বছর যা ছিল ৬ হাজার ৩১১ জন। পাশের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়ে এবারও এ বোর্ডে মেয়েরা এগিয়ে আছে।

২২২টি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। আর পাশের হারের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে পিরোজপুর জেলা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরিশাল, তৃতীয় অবস্থানে ঝালকাঠি এবং সব শেষে রয়েছে ভোলা জেলা। রোববার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।

তিনি জানান, বরিশালে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৫৮ জন থাকলেও অংশ নিয়েছে ৮৭ হাজার ৭৩৪ জন। আর পাশ করেছে ৭৮ হাজার ১৯৭ জন। বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে এ বছর ১ হাজার ৪৮৯টি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে। এ বছর তিনজন পরীক্ষার্থী জেলখানায় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, এ বছর অসম্ভব ভালো ফল হয়েছে। গত বছরের চেয়ে পাশের হার কমলেও ফলাফলের গুণগত মান বেড়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত পথেই আমরা হেঁটেছি। এ কারণে ফলাফলের বিপর্যয় ঘটেনি। এছাড়া শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভালো ফল করার প্রবল ইচ্ছা ছিল।

অরুন কুমার গাইন জানান, এ বছর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশের হার সব থেকে বেশি। এরপর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের অবস্থান। এ বছর গড় পাশের হারে পিরোজপুর জেলার অবস্থান রয়েছে শীর্ষে। এ জেলায় মোট পাশের হার ৯০ দশমিক ৯৭। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বরিশালের পাশের হার ৯০ দশমিক ৬৪। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ঝালকাঠির পাশের হার ৯০ দশমিক ৫২। চতুর্থ অবস্থানে থাকা পটুয়াখালীর পাশের হার ৮৩ দশমিক ৮৯। পঞ্চম অবস্থানে থাকা বরগুনার পাশের হার ৮৯ দশমিক ৬০ এবং সবার শেষে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা ভোলার পাশে হার ৮৯ দশমিক ২৭ শতাংশ।

জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে মোট ৫ হাজার ২৩৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া মানবিক বিভাগ থেকে ৭০২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২০৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শতভাগ পাশ ২২২ বিদ্যালয় : এসএসসি পরীক্ষায় ২২২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে। ১ হাজার ৪৮৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২২টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ৮৩টি, এরপর পিরোজপুর ৫১টি বিদ্যালয়। এছাড়া ভোলার ২৭টি, ঝালকাঠির ২৬টি, বরগুনার ২১টি ও পটুয়াখালীর ১৪টি বিদ্যালয় রয়েছে শতভাগ পাশের তালিকায়। এবার শতভাগ ফেল করেছে এমন কোনো বিদ্যালয় নেই। এছাড়া বোর্ডের আওতায় ৬ জেলায় ১ হাজার ২৪৮টি বিদ্যালয়ে ৫০ শতাংশের ওপরে শতভাগের নিচে পাশ করেছে। আর ৫০ শতাংশের নিচে পাশ করেছে ২০টি বিদ্যালয়ে।