ডেস্ক নিউজ
বরগুনার বেতাগীতে খাল দখলের মহাৎসবে মেতেছে প্রভাবশালীরা। এক সময়ের খরস্রোতা খালগুলো দখল করে একের পর এক স্থাপনা তৈরী করে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিশাবাজার সংলগ্ন পুরান খাল নামে খ্যাত খরস্রোতা জলধারাটিও এখন দখল দূষণে প্রায় নিশ্চিহ্ন। জরিপ নকশায় খালটির সুস্পষ্ট দেখা মিললেও, বাস্তবে মনে হবে একাধিক ব্যক্তির মালিকানাধীন সম্পত্তি। তবে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,‘ দক্ষিণ হোসনাবাদ মৌজার আরএস ২৫৭৬নং দাগে প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে ছিলো ‘পুরান খাল’ নামে খ্যাত একটি খরস্রোতা জলধারা। যেটি ছিলো ৯০ দশকের সময়ে হোসনাবাদ ইউনিয়ন থেকে উপজেলা শহরে চলাচলের একমাত্র নৌপথের মাধ্যম। যে খালে অনেকেই মাছ ধরেও জীবিকা নিবার্হ করতেন। কিন্তু বর্তমানে এই খালটির পুরোটাই স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে, যা তারা নানাভাবে দখল করে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির রূপ দিয়েছেন। জলিশা বাজারের সাইক্লোন সেল্টার এলকার একটি বড় অংশ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমন লিটনের দখলে। যেখানে একপাশে বাঁধ দিয়ে তৈরী করেছেন মাছের ঘের, সাথে করছেন সবজির চাষ, সাথে ছোট—বড় স্থাপনাও। খালটির এক কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয়রা তাদের সীমানার সাথে সংযুক্ত করে আলাদা আলাদা ভাবে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে তৈরী করেছেন বাগান ভিটা। কিছুদূর সামনে গেলেই ওই এলাকার রাড়ী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় কেউ কেউ আবার বালু দিয়ে ভরাট করে নিয়েছেন ইচ্ছেমতো। একটু সামনে গেলেই নিলখোলা বাজার, সেখানে খালের ওপরই বসানো হয়েছে সাড়ি সাড়ি দোকান। কেউ কেউ নিমার্ণ করেছেন পাকা দালান। তবে এসব অনিয়ম দেখেও যেনো দেখছেন না প্রশাসন, এমনটাই দাবী স্থানীয় সচতেন মহলের। খালটি দখল দূষণের ফলে কৃষিকাজে কৃষকদের যেমন সেচ চাষে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। তেমনি বন্ধ হয়ে গেছে নৌপথে গ্রামীন এলাকার চলাচল। এদিকে খালটিকে দখল করে শতাংশের পর শতাংশ পরিমান জমির মালিক হয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,‘ পুরান খালটি এক সময়ের খরস্রোতা জলধারা ছিলো। যা বর্তমানে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এ খালটিকে দখলদারদের হাত থেকে পূণরুদ্ধার করে খননের দাবী তাদের।
খাল দখলের বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন,‘ একটি খাল একটি এলাকাকে প্রাণবন্ত করে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাল দখলের ব্যাপারে কাউকে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হবেনা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সাথে সাথে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসাথে খালটি খননের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।