ডেস্ক নিউজ:
বরগুনার বেতাগীতে ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম নামের এক যুবলীগ নেতা প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিশাবাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে বেতাগী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন। ওই যুবলীগ নেতা হোসনাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে। তিনি হোসনাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পদপ্রত্যাশী ছিলেন। ওই একই মামলায় একই স্থান থেকে আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয় তারা হলেন, হোসনাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা রুবেল জোমাদ্দার ও স্বপন হাওলাদার।
জানা যায়,‘ হোসনাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা রুবেল জোমাদ্দার (সৌদি আরব) প্রবাসে থাকাকালীন বিকাশ ব্যবসায়ী(যুবলীগ নেতা) শফিক ও স্বপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে হুন্ডির ব্যবসা করতেন। প্রবাস থেকে বাংলাদেশে লাখ লাখ টাকার লেনদেন চলাকালীন প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিপুল অঙ্কের টাকা লোপাট করে এলাকায় চলে আসেন। পরে প্রবাসে থাকা এক ব্যক্তি ও রাজধানীর মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা মো. শাহেদ আলী বাদি হয়ে ‘মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট’ আদালতে গ্রেফতারকৃত তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের বিচারক ৪০৬/৪২০ দঃবিঃ আইনে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেন।
মামলার বাদি শাহেদ আলী বলেন, প্রবাসে থাকাকালীন বিপুল পরিমানে টাকা আমাদের কাছ থেকে তারা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। পরে একাধিকবার তাদের এলকায় এসে সেই টাকা ফেরৎ চাইলে তারা আমাদেরকে গালাগাল করেন এবং ভয়ভীতি দেখান, পরে বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,‘ যুবলীগ নেতা শফিক এর আগেও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নিবার্চন চলাকালীন সময়ে চরমোনাই পীরসাহেবের ওপর হামলা করেন। যার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং ওই সময়ে টানা তিনমাস ব্যাপী গা—ঢাকা দেন দিয়ে থাকেন তিনি।
বেতাগী থানা পুলিশ জানান, ওই তিনজন ৪০৬/৪২০ ধারায় সোমন জারী সহ গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী হওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।’