বেতাগী প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগীতে রাস্তার পাশ থেকে শত বছরের পুরনো সরকারি বট গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাসেল মোল্লা (৩০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সরেজমিনে দেখা যায়, বেতাগী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের শেষ সীমানা ও সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জায়গায় রাস্তা কেটে বক্স কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলে। এই উন্নয়নের সুযোগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান কবিরের পুরান বাড়ির কেওড়াবুনিয়া এলাকার রাস্তা পাশে শত বছর বয়সী বট গাছ বেকু দিয়ে কেটে শিকড় সহ উপড়ে পাশে বিষখালী নদীর পাড়ে নিয়ে ফেলা হয়েছে। যাতে কেউ দেখতে না পারে। রাস্তার পাশে শত বছরের বট গাছ ছিল তা বোঝাই যায় না। এতে স্থানীয় ও বৃক্ষ প্রেমিদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পৌর শহরের ওই এলাকাটিতে প্রতিদিন বিকেলে ঘুরতে যায় শত মানুষ। বিষখালী নদীর পাড়ে কয়েকটি বট ও তাল গাছ থাকায় এলাকাটি সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়। গাছ কাটায় নিন্দার ঝর বইছে পুরো শহরে।
বৃক্ষপ্রেমি মিরাজ নামের একজন বলেন, আমি কাজ শেষ করে প্রায় সময়ই এখানে ঘুরতে আসি। এখানে একদিকে নদী আর তার পাশেই এই গাছগুলো এক অসাধারন প্রকৃতির সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। কিন্তু আজ এখানে এসে দেখি গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। এমন ভাবে কাটা হয়েছে যাতে বোঝাই যায়না যে এখানে গাছ ছিল। সরকারি কর্মকর্তারা কি করে বুঝি না। তাদের নাকের ডগায় বসে বৃক্ষ নিধন চলছে আর তারা শুধু দেখে।
অপরদিকে অভিযুক্ত রাসেল মোল্লার সাথে সাংবাদিকরা বন বিভাগের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষেপে উঠেন এবং তিনি বলেন, “গাছ কাটছি তাতে আমনের সমস্যা কি? বন বিভাগরে জানান লাগবে কেন? আর আমনের এহানে কাম কি? আইছেন ক্যা? আমাগো গাছ আমরা কাটছি। আমি কে চিনেন? খোজ লইয়া দেখেন”। তার এমন ক্ষিপ্ততার বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, তিনি এমনভাবেই নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করেন। এলাকায় বেপরোয়া ভাবেই চলাফেরা করেন। তার উপরে কেউ কথা বলতে গেলে হেনস্থার শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি শোনামাত্র লোক পাঠিয়েছি। যেকোন কাজ হোক না কেন সরকারি গাছ কাটার কোনো রাইট নেই কারো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি রাস্তার পাশ থেকে গাছ কাটার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।