ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেতাগীতে মাছ বাজারে দামের আগুন, সবজি যেনো বিলাশী পণ্য

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫ ভিউ

পৌর শহরের বাজারে কেজিপ্রতি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা। সপ্তাহখানেক আগেও যার কেজি দরে মূল্য ছিলো ১৫০—২০০ টাকা। বেড়েছে অন্যান্য সবজির দামও, ৫০ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়,মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা ঢেড়স ৮০—৯০ টাকা, শসা ৯০ টাকা, পটল ও মুলা ৮০—১০০ টাকা, গাজর ২০০ টাকা, বরবটি ২৪০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমোটো ৩০০ টাকা, সিম ২৫০ টাকা করে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে এসকল সবজি। দু‘একটি সবজি ব্যতীত বাকিসব গুলিই সেঞ্চুরি পার করেছে দামে। এদিকে শহরের বাজারগুলির থেকে গ্রামের ছোট—ছোট হাট বাজারগুলিতে প্রতিটি সবজির দামের ব্যবধান কেজিপ্রতি গড়ে  ২০—৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, গ্রামে চাষ হওয়া সবজিই রাজধানী শহর ঢাকাসহ সারাদেশের বড় বড় বাজারগুলিতে বিক্রি হয়ে থাকে, অথচ উপজেলা শহরের সাথেই গ্রামের হাট বাজার গুলোতে বিক্রি হওয়া প্রতিটি সবজির দাম গড়ে ২০ টাকা বেশি। এমন সিন্ডিকেট চলতে থাকলে একসময় কৃষি চাষে গ্রামের সাধারণ কৃষকরা আগ্রহ হারাবেন। একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এক সময়ে আমরা ছিলাম মাছে ভাতে বাঙালী। আর এখন মাছ তো দূরের পথ, ভাতের সাথে সবজি খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়।

অন্যদিকে মা ইলিশ রক্ষায় সমুদ্রে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে সাগরের মাছের সরবরাহ কমেছে ৮০ শতাংশ। সেই সুযোগে দেশী মাছ ও স্থানীয় উৎপাদিত ঘেরের চাষের মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্রাসকার্প, নালোটিকা, চায়না পুঠি, সিলভারকার্প আকার ভেদে ৪৫০থেকে ৬‘শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টেংরা মাছ, হরিণা চিংড়ি, চামি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে  ২০০—৩৮০ টাকা পর্যন্ত। বোয়াঁল প্রকারভেদে ৮০০— ১২০০ টাকা পর্যন্ত। আইড় ১০০০— ১৬০০ টাকা কেজি প্রতি। শিং, মাগুর ৮০০—১০০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। তবে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো একমাত্র তাদের পক্ষেই কেনা সম্ভব এই দামে কেজি প্রতি মাছ। এমনটাই জানান মাছের বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা।

নিত্যপণ্যের বাজারের এমন অস্থিতিশীল দামে রীতিমতো দিশেহারা স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের দাবী, এত বেশি দামে মরিচসহ সকল ধরণের সবজি কেনো বিক্রি হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে বিক্রেতা— কাইয়ুম, আবুল, শাহীন বলেন আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাত্র। যারা মাল গুদামে রেখে ব্যবসা করেন, শুধু ওই সকল অসাদু ব্যবসায়ীদের জন্যই ঝড়েড় গতিতে বাড়ছে প্রতিটি সবজির দাম। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুযোর্গের কারনে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক সবজির বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। তাই কাঁচামরিচসহ অন্যান্য সবজির দরও বাড়তি। তবে ২—৪ দিন অতিক্রম হলে বাজার দর কিছুটা কমবে বলে জানান সবজি বিক্রেতা আ. রাজ্জাক। অন্যদিকে অসাদু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রশাসনিক ক্ষমতার সবোর্চ্চ প্রয়োগ ক্রেতাদের দাবী ।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

বেতাগীতে মাছ বাজারে দামের আগুন, সবজি যেনো বিলাশী পণ্য

আপডেট টাইম ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

পৌর শহরের বাজারে কেজিপ্রতি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা। সপ্তাহখানেক আগেও যার কেজি দরে মূল্য ছিলো ১৫০—২০০ টাকা। বেড়েছে অন্যান্য সবজির দামও, ৫০ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়,মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা ঢেড়স ৮০—৯০ টাকা, শসা ৯০ টাকা, পটল ও মুলা ৮০—১০০ টাকা, গাজর ২০০ টাকা, বরবটি ২৪০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমোটো ৩০০ টাকা, সিম ২৫০ টাকা করে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে এসকল সবজি। দু‘একটি সবজি ব্যতীত বাকিসব গুলিই সেঞ্চুরি পার করেছে দামে। এদিকে শহরের বাজারগুলির থেকে গ্রামের ছোট—ছোট হাট বাজারগুলিতে প্রতিটি সবজির দামের ব্যবধান কেজিপ্রতি গড়ে  ২০—৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, গ্রামে চাষ হওয়া সবজিই রাজধানী শহর ঢাকাসহ সারাদেশের বড় বড় বাজারগুলিতে বিক্রি হয়ে থাকে, অথচ উপজেলা শহরের সাথেই গ্রামের হাট বাজার গুলোতে বিক্রি হওয়া প্রতিটি সবজির দাম গড়ে ২০ টাকা বেশি। এমন সিন্ডিকেট চলতে থাকলে একসময় কৃষি চাষে গ্রামের সাধারণ কৃষকরা আগ্রহ হারাবেন। একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এক সময়ে আমরা ছিলাম মাছে ভাতে বাঙালী। আর এখন মাছ তো দূরের পথ, ভাতের সাথে সবজি খেয়ে বেঁচে থাকাই দায়।

অন্যদিকে মা ইলিশ রক্ষায় সমুদ্রে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে সাগরের মাছের সরবরাহ কমেছে ৮০ শতাংশ। সেই সুযোগে দেশী মাছ ও স্থানীয় উৎপাদিত ঘেরের চাষের মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্রাসকার্প, নালোটিকা, চায়না পুঠি, সিলভারকার্প আকার ভেদে ৪৫০থেকে ৬‘শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টেংরা মাছ, হরিণা চিংড়ি, চামি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে  ২০০—৩৮০ টাকা পর্যন্ত। বোয়াঁল প্রকারভেদে ৮০০— ১২০০ টাকা পর্যন্ত। আইড় ১০০০— ১৬০০ টাকা কেজি প্রতি। শিং, মাগুর ৮০০—১০০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। তবে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো একমাত্র তাদের পক্ষেই কেনা সম্ভব এই দামে কেজি প্রতি মাছ। এমনটাই জানান মাছের বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা।

নিত্যপণ্যের বাজারের এমন অস্থিতিশীল দামে রীতিমতো দিশেহারা স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের দাবী, এত বেশি দামে মরিচসহ সকল ধরণের সবজি কেনো বিক্রি হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে বিক্রেতা— কাইয়ুম, আবুল, শাহীন বলেন আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাত্র। যারা মাল গুদামে রেখে ব্যবসা করেন, শুধু ওই সকল অসাদু ব্যবসায়ীদের জন্যই ঝড়েড় গতিতে বাড়ছে প্রতিটি সবজির দাম। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুযোর্গের কারনে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অনেক সবজির বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। তাই কাঁচামরিচসহ অন্যান্য সবজির দরও বাড়তি। তবে ২—৪ দিন অতিক্রম হলে বাজার দর কিছুটা কমবে বলে জানান সবজি বিক্রেতা আ. রাজ্জাক। অন্যদিকে অসাদু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রশাসনিক ক্ষমতার সবোর্চ্চ প্রয়োগ ক্রেতাদের দাবী ।