ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বেতাগীতে প্রথম মামলা

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০ ভিউ

ফাইল ফটো- বেতাগী থানা।

ওই মামলায় বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খ.ম ফাহরিয়া সংগ্রাম আমিনুলকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীরা হলেন পৌর আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল আক্তার, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মান্নান হাওলাদার,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন ফকিরসহ মোট ২১ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। একইসাথে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে দুই শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে। 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর  বেতাগী উপজেলা বিএনপির ঘোষিত আনন্দ মিছিলে বাধা প্রদান করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ। বেতাগী বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে বন্দরে  বাজার ব্রিজের দিকে গমনকালে হামলা করেন আ.লীগ নেতাকর্মীরা, ওই হামলায়  ধারালো অস্ত্রের কোপে পায়ের রগ কেটে যায় দুই মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীর। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন উল্লেখিত আসামীসহ অজ্ঞাত প্রায় দুই শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। আরো উল্লেখ করা হয় মিছিলে অংশ নেয়া নেতা কর্মীদের ওপর এলোপাথারি হামলার সময় তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্রসহ টাকা পয়সা ছিনতাই করেন মামলার আসামীরা। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ এ হামলা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে বাদী ও কয়েকজন সাক্ষীকে কুপিয়ে—পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বেতাগী থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘ ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বিএনপির আনন্দ মিছিলে হামলা ও ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ উল্লেখ করে এক বিএনপি কর্মী একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বেতাগীতে প্রথম মামলা

আপডেট টাইম ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

ওই মামলায় বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খ.ম ফাহরিয়া সংগ্রাম আমিনুলকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীরা হলেন পৌর আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল আক্তার, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মান্নান হাওলাদার,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন ফকিরসহ মোট ২১ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। একইসাথে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে দুই শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে। 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর  বেতাগী উপজেলা বিএনপির ঘোষিত আনন্দ মিছিলে বাধা প্রদান করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ। বেতাগী বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে বন্দরে  বাজার ব্রিজের দিকে গমনকালে হামলা করেন আ.লীগ নেতাকর্মীরা, ওই হামলায়  ধারালো অস্ত্রের কোপে পায়ের রগ কেটে যায় দুই মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীর। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন উল্লেখিত আসামীসহ অজ্ঞাত প্রায় দুই শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। আরো উল্লেখ করা হয় মিছিলে অংশ নেয়া নেতা কর্মীদের ওপর এলোপাথারি হামলার সময় তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্রসহ টাকা পয়সা ছিনতাই করেন মামলার আসামীরা। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ এ হামলা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে বাদী ও কয়েকজন সাক্ষীকে কুপিয়ে—পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বেতাগী থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘ ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বিএনপির আনন্দ মিছিলে হামলা ও ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ উল্লেখ করে এক বিএনপি কর্মী একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।