ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেতাগীতে পেঁয়াজের বজারে ডাবল সেঞ্চুরি

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮ ভিউ

ফাইল ফটো- বেতাগী টুডে।

বরগুনার বেতাগীতে একদিনের ব্যবধানে উপজলোর স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত হয়েছে। ৮০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও প্রশাসনের অতৎপরতার কারনেই সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন সারা দেশেই পেঁয়াজের বাজার অস্থির, তাই বাড়তি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করে আগের থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর প্রশাসন বলছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।
বেতাগী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুক্র- শনিবার বিকেল পর্যন্ত পৌর শহরসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে দেশীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা, ওইদিন সন্ধ্যার পরেই একদফা দাম বৃদ্ধির ফলে  পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজি প্রতি ১৪০ টাকা দরে। তবে রবিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০- ২২০ টাকা দরে, এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। কেউ কেউ আবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পেঁয়াজের বাজার থেকে।
একাধিক ক্রেতা জানান, একদিনের মধ্যে পেঁয়াজের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি এটি সাধারণভাবে অসম্ভব। অসাধু ব্যবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে পেঁয়াজের বাজারকে অস্থির করে তুলেছেন। যেসকল ব্যবসায়ীদের গুদাম ও দোকানে পূর্বের দামে ক্রয় করা পেঁয়াজ রয়েছে তারাও এ সুযোগে দ্বিগুন দামে বিক্রির উৎসবে মেতেছেন। ভোক্তাদের পকেট কেটে বেতাগীতে ব্যবসায়ীরা শুধু পেঁয়াজ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিবেন।  অন্যান্য জেলা ও উপজেলালোতে প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও বেতাগীতে নিরব প্রশাসন। এসব যেনো দেখেও দেখছেন না তারা। প্রশাসন যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করেন তবে কিছুটা হলেও সিন্ডিকেট মহল নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মতামত ভোক্তাদের।

তবে বন্দর ব্যবসায়ীদের মতামত সম্পূর্ণ ভিন্ন তারা বলছেন, গত এক সপ্তাহ আগ থেকেই পাইকারী বাজারে চাহিদা মাফিক পেঁয়াজ পাচ্ছেন না খুচরা বিক্রেতারা, ফলে কারসাজি করার প্রশ্নই আসেনা। বেশি দামে ক্রয় করলে বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হবে বলেও জানান তারা। এছাড়াও তারা আরো বলেন, যে পরিমান পেঁয়াজ মজুদ ছিলো তা দিয়ে দোকানের দ্বৈনন্দিন নিজস্ব ক্রেতাদের ধরে রাখতে তাদের কাছে কিছুটা দাম কমিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই বাহিরের চাহিদামতো যে কোনো ক্রেতার কাছে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না তারা। বেশ কিছুদিন পেঁয়াজের দাম চড়া থাকলেও, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কিছুটা কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, উপজেলার কোথাও কানো ব্যবসায়ী নির্ধারিত দামের থেকে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন না। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে বাজার নিয়ন্ত্রনে মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।’

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

বেতাগীতে পেঁয়াজের বজারে ডাবল সেঞ্চুরি

আপডেট টাইম ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

বরগুনার বেতাগীতে একদিনের ব্যবধানে উপজলোর স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত হয়েছে। ৮০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও প্রশাসনের অতৎপরতার কারনেই সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন সারা দেশেই পেঁয়াজের বাজার অস্থির, তাই বাড়তি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করে আগের থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর প্রশাসন বলছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।
বেতাগী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুক্র- শনিবার বিকেল পর্যন্ত পৌর শহরসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে দেশীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা, ওইদিন সন্ধ্যার পরেই একদফা দাম বৃদ্ধির ফলে  পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজি প্রতি ১৪০ টাকা দরে। তবে রবিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২০০- ২২০ টাকা দরে, এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। কেউ কেউ আবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পেঁয়াজের বাজার থেকে।
একাধিক ক্রেতা জানান, একদিনের মধ্যে পেঁয়াজের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি এটি সাধারণভাবে অসম্ভব। অসাধু ব্যবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে পেঁয়াজের বাজারকে অস্থির করে তুলেছেন। যেসকল ব্যবসায়ীদের গুদাম ও দোকানে পূর্বের দামে ক্রয় করা পেঁয়াজ রয়েছে তারাও এ সুযোগে দ্বিগুন দামে বিক্রির উৎসবে মেতেছেন। ভোক্তাদের পকেট কেটে বেতাগীতে ব্যবসায়ীরা শুধু পেঁয়াজ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিবেন।  অন্যান্য জেলা ও উপজেলালোতে প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও বেতাগীতে নিরব প্রশাসন। এসব যেনো দেখেও দেখছেন না তারা। প্রশাসন যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করেন তবে কিছুটা হলেও সিন্ডিকেট মহল নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মতামত ভোক্তাদের।

তবে বন্দর ব্যবসায়ীদের মতামত সম্পূর্ণ ভিন্ন তারা বলছেন, গত এক সপ্তাহ আগ থেকেই পাইকারী বাজারে চাহিদা মাফিক পেঁয়াজ পাচ্ছেন না খুচরা বিক্রেতারা, ফলে কারসাজি করার প্রশ্নই আসেনা। বেশি দামে ক্রয় করলে বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হবে বলেও জানান তারা। এছাড়াও তারা আরো বলেন, যে পরিমান পেঁয়াজ মজুদ ছিলো তা দিয়ে দোকানের দ্বৈনন্দিন নিজস্ব ক্রেতাদের ধরে রাখতে তাদের কাছে কিছুটা দাম কমিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই বাহিরের চাহিদামতো যে কোনো ক্রেতার কাছে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না তারা। বেশ কিছুদিন পেঁয়াজের দাম চড়া থাকলেও, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কিছুটা কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, উপজেলার কোথাও কানো ব্যবসায়ী নির্ধারিত দামের থেকে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন না। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে বাজার নিয়ন্ত্রনে মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।’