ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক পরীক্ষার্থীর জন্য ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • ৮ ভিউ

১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন মাত্র একজন পরীক্ষার্থীর জন্য। ঘটনাটি শনিবার বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ঘটে। ওই পরীক্ষার্থীর নাম নূর মোহাম্মদ অনিক। 

মাদ্রাসা পড়ুয়া অনিক এসএসসি (ভোক)/দাখিল(ভোক) নবম শ্রেণি পরীক্ষার আরবি-১ বিষয়ে ‘বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ‘কেন্দ্র থেকে ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী হলেও পরীক্ষার কার্যক্রমে কোনো ধরনেরই ঘাটতি ছিল না।

জানা যায়, পরীক্ষার্থী অনিক উপজেলার রানীপুর গড়িয়াবুনিয়া এছাহাকিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। 

কক্ষ পরিদর্শক বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে এই একই বিষয়ে মাত্র তিনজন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে দুজনই অনুপস্থিত ছিল। পরে একজনকে দিয়েই পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়।

একজন পরীক্ষার্থীর দায়িত্বে যেসব কর্মকর্তা- কর্মচারী ছিলেন, তারা হলেন— পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি), একজন কক্ষ পরিদর্শকসহ একজন কেন্দ্র সচিব, একজন সহকারী কেন্দ্র সচিব, একজন হল সুপার, পুলিশ একজন, পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য তিনজন, অফিস ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োজিত ছিলেন আরও তিনজন। এ ছাড়া বন্ধের দিনে পরীক্ষার খাতা ডাকযোগে পাঠাতে খোলা ছিল সংশ্লিষ্ট ডাকঘর। সেখানেও দায়িত্বে ছিলেন পোস্টমাস্টার ও একজন কর্মচারী।

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, যেহেতু সরকারি দায়িত্ব, সুতরাং যথাযথভাবেই সবাইকে দায়িত্ব পালন করতেই হবে, এখানে পরীক্ষার্থী একজন সেটি মুখ্য নয়। এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

এক পরীক্ষার্থীর জন্য ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী

আপডেট টাইম ১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন মাত্র একজন পরীক্ষার্থীর জন্য। ঘটনাটি শনিবার বরগুনার বেতাগী উপজেলায় ঘটে। ওই পরীক্ষার্থীর নাম নূর মোহাম্মদ অনিক। 

মাদ্রাসা পড়ুয়া অনিক এসএসসি (ভোক)/দাখিল(ভোক) নবম শ্রেণি পরীক্ষার আরবি-১ বিষয়ে ‘বেতাগী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ‘কেন্দ্র থেকে ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী হলেও পরীক্ষার কার্যক্রমে কোনো ধরনেরই ঘাটতি ছিল না।

জানা যায়, পরীক্ষার্থী অনিক উপজেলার রানীপুর গড়িয়াবুনিয়া এছাহাকিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। 

কক্ষ পরিদর্শক বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে এই একই বিষয়ে মাত্র তিনজন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে দুজনই অনুপস্থিত ছিল। পরে একজনকে দিয়েই পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়।

একজন পরীক্ষার্থীর দায়িত্বে যেসব কর্মকর্তা- কর্মচারী ছিলেন, তারা হলেন— পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি), একজন কক্ষ পরিদর্শকসহ একজন কেন্দ্র সচিব, একজন সহকারী কেন্দ্র সচিব, একজন হল সুপার, পুলিশ একজন, পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য তিনজন, অফিস ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োজিত ছিলেন আরও তিনজন। এ ছাড়া বন্ধের দিনে পরীক্ষার খাতা ডাকযোগে পাঠাতে খোলা ছিল সংশ্লিষ্ট ডাকঘর। সেখানেও দায়িত্বে ছিলেন পোস্টমাস্টার ও একজন কর্মচারী।

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, যেহেতু সরকারি দায়িত্ব, সুতরাং যথাযথভাবেই সবাইকে দায়িত্ব পালন করতেই হবে, এখানে পরীক্ষার্থী একজন সেটি মুখ্য নয়। এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।