লিপিকা মন্ডল অর্পিতা
শনিবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছে। দুপুর ১ টা ৪৭ মিনিট থেকে ২ টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত ৩৮ মিনিটের মাঝারি ধরণের বৃষ্টিতে কৃষকের আর্শীবাদ হয়েছে। লাল শাক, লাউ, পালং শাক, ঢেঁড়শ, পুইশাক, করল্লা, পটল, গাজর, শসাসহ শীত মৌসুমের শাক-সবজিতে ব্যাপক পানির প্রয়োজন ছিল। এছাড়া রোপা আমন ক্ষেতে এসময়টা বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল বলে জানান স্থানীয় চাষিরা।
শরিবার দুপুরে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী পৌর শহরে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তবে পৌর শহরের আশপাশে এলাকাতে ভারি বর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হঠাৎ করেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে অন্ধকারে সবকিছু ঢেকে যায়। শুরু হয় বৃষ্টি। শনিবার দুপুরে সাপ্তাহিক হাটের দিন থাকায় এবং বিভিন্ন কাজে ঘরের বাইরে বের হয়েছিলেন তারা ক্ষণিকের জন্য বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন।
পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালীকান্দা গ্রামের কৃষক স্বপন মোল্লা বলেন,’ বৃষ্টিটা হওনে আমাগোর ধান ক্ষেতের জন্য খুবই উপকার অইছে। এই বৃষ্টি আমাগোর জন্য আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি বইলা মনে করি। বৃষ্টির পানিডা ধান গাছের বুক বাইয়া পড়ছে। অহন বৃষ্টি হওনে ধানগুলার লাভ হইছে।
কৃষক গোলাম হোসেন বলেন, ‘এই বৃষ্টিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের জন্য খুবই ভাল হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইছা বলেন,’ মধ্য কার্তিকের এই সময়টা বৃষ্টি হওয়াতে কৃষকের জন্য উপকৃত হয়েছে। আমনের ক্ষেতসহ শাক-সবজিল ফলনগুলো ভালো হবে।’
ছবির ক্যাপশন:
শনিবার দুপুরে বৃষ্টির সময় বেতাগী পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তোলা হয়েছে।