ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় অঞ্চল
হোসাইন সিপাহী:
কে না ! নিজের প্রিয় সম্বলকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে, তবে অনেক সময় সেই চেষ্টাকে ব্যার্থ করে তোলে প্রকৃতির কঠোরতা। গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা তান্ডব চালায় উপকূলীয় জেলা বরগুনায়। এর প্রভাবে পুরো বেতাগী উপজেলা ওলোট-পালট হয়ে যায়। শত শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো। এমন সময়ে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ ২০০ পরিবারকে নগদ টাকা ও ২০০ পরিবারকে খাদ্য পণ্য দিয়ে পাশে দাড়ায় জাগো নারী সংস্থা। যার অর্থায়ন সহযোগীতা করেন স্টার্মফোর্ড নামের বিদেশি সংস্থা।
গত ৯ জুন উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে নগদ টাকা ও খাদ্য পণ্য তুলে দেওয়া হয়। প্রতি জন নগদ ৬০০০ টাকা করে পায়। এছাড়া বালতি,মগ,সাবান,চাল,ডাল,তেল,চিনি,ছোলা ভুট সহ আরও কয়েক পদ বিতরণ করে। ১২ জুন মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে খোলা মাঠে বসে ওই ইউনিয়নের ২০০ পরিবারকে একই সহযোগীতা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ, জাগো নারী সংস্থার প্রতিনিধি গোলাম শাহরিয়ার, ফারজানা মুন্নি সহ আরও অনেকে। এ সহযোগিতা বেতাগী উপজেলার চারটি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করা হবে তা হলো বিবিচিনি, মোকামিয়া,বুড়ামজুমদার ও সরিষামুড়ি ইউনিয়ন।
সহযোগিতা পাওয়া নকুল বলেন, আমার ঘর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে, চিন্তায় ঘুম আসেনা। কিভাবে ঘর মেরামত করব। এমন সময় আমায় খুজে সহযোগিতা করেছে জাগোনারী সংস্থা। বিশ্বাস করিনি যে এতটা সহযোগিতা পাবো। বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওয়াব হোসেন নয়ন বলেন, এটা এক চমৎকার উদ্যেগ বাস্তবায়িত হলো। আমার ইউনিয়নের অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহমেদ বলেন, এরকম কর্মসূচি কখনো দেখিনি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত করে সঠিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগীতা করে এটা এক ইতিহাস তৈরি করল। বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন,‘তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই,এমব উদ্যেগ নেওয়ায়। এরকম সর্বদা অসহায় মানুষদের নিয়ে কাজ করবেন এমনটাই দাবি থাকবে ‘