ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরগুনায় সাংবাদিক মাসাউদের মৃত্যুতে, ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • ৭ ভিউ

দৈনিক ভোরের ডাক ও বেসরকারি টেলিভিশন এসএ টিভির বরগুনা প্রতিনিধি তালুকদার মাসউদ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। সোমবার বেলা ৩টার দিকে দায়ের করা হত্যা মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। সাংবাদিক মাসউদ বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গোরাপদ্মা এলাকার আবদুল ওয়াহাব মাস্টারের ছেলে। তিনি ওই এলাকার ইউপি সদস্য ছিলেন। তার স্ত্রী সাজেদা বেগম একজন স্কুলশিক্ষক।

সাজেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী তালুকদার মাসউদ বরগুনা প্রেস ক্লাবের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ২০১৫ সালে ‘বরগুনা জেলা প্রেস ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন করেন। এতে বরগুনা প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বস্থানীয় কিছু সদস্য তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার আমার স্বামী বরগুনা প্রেস ক্লাবের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ক্লাবে গিয়ে ক্যারাম খেলেন। তাকে দেখে বরগুনা প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহেল হাফিজ ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন এবং প্রেস ক্লাবের গেট বন্ধ করে তার দল নিয়ে মাসউদের ওপর হামলা চালায়। তাকে ফ্লোরে ফেলে হাঁটু দিয়ে বুকের ওপর আঘাত করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার ১৩ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, আসামিদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছি।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

বরগুনায় সাংবাদিক মাসাউদের মৃত্যুতে, ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা

আপডেট টাইম ১১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

দৈনিক ভোরের ডাক ও বেসরকারি টেলিভিশন এসএ টিভির বরগুনা প্রতিনিধি তালুকদার মাসউদ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। সোমবার বেলা ৩টার দিকে দায়ের করা হত্যা মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। সাংবাদিক মাসউদ বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গোরাপদ্মা এলাকার আবদুল ওয়াহাব মাস্টারের ছেলে। তিনি ওই এলাকার ইউপি সদস্য ছিলেন। তার স্ত্রী সাজেদা বেগম একজন স্কুলশিক্ষক।

সাজেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী তালুকদার মাসউদ বরগুনা প্রেস ক্লাবের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ২০১৫ সালে ‘বরগুনা জেলা প্রেস ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন করেন। এতে বরগুনা প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বস্থানীয় কিছু সদস্য তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার আমার স্বামী বরগুনা প্রেস ক্লাবের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ক্লাবে গিয়ে ক্যারাম খেলেন। তাকে দেখে বরগুনা প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহেল হাফিজ ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন এবং প্রেস ক্লাবের গেট বন্ধ করে তার দল নিয়ে মাসউদের ওপর হামলা চালায়। তাকে ফ্লোরে ফেলে হাঁটু দিয়ে বুকের ওপর আঘাত করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার ১৩ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, আসামিদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছি।