দ্বাদশ সংসদ নিবার্চন- বরগুনা ২
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নিবার্চনকে ঘিরে ও মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যে পরিমান আমেজ থাকার কথা তার কিছুই নেই বরগুনা ২ আসনে। প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে একচেটিয়া মাঠ দখল করে আছে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। এদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিবার্চন পরিচালনার একদফা দাবী আদায়ে মহাসমাবেশ ও হরতাল নিয়ে রাজপথে পরে আছে বিএনপি। যদিও সেই আন্দোলনের তেমন কোনো প্রভাব নেই (বেতাগী,বামনা,পাথরঘাটা) তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত বরগুনা ২ আসনে। তবে গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপির ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা পর্যয়ের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, নব্বইয়ের পটপরিবর্তনের পর ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এ আসনটি ছিলো বিরোধীদের দখলে। ২০০৮ সালের নিবার্চনের পর থেকে এ পর্যন্ত আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে। ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে দ্বাদশ সংসদ নিবার্চনকে ঘিরেও প্রচারণার মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শুধুমাত্র আ.লীগের নেতাকর্মীরা। তবে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে নিজ দলের মধ্যে রয়েছে বেশ প্রতিযোগীতার লড়াই। ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির শুরু করেছেন এ আসনের প্রায় এক ডজন সম্ভাব্য প্রার্থী। এরমধ্যে প্রচারণা নিয়ে মাঠে আছে প্রায় অর্ধ ডজন।
বিএনপির একটি সূত্র জানান, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে হরতাল পালনের কর্মসূচি শুরু করেন বিএনপি । এরপরই শুরু হয় একের পর এক বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেফতার। রাজধানী ঢাকা ও বরগুনা ২ আসনের তিনটি উপজেলা মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী। তাই আসন্ন নিবার্চনকে ঘিরে কোনো আমেজ নেই বিএনপি নেতাকর্মীর মাঝে। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র রয়েছে গ্রেফতার আতঙ্ক, তাই বাসস্থান ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। ইতোমধ্যে দলীয় কোন্দলকে কারন দেখিয়ে গ্রেফতার আতঙ্কে, দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বেতাগী পৌর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন। এমন পদত্যাগের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানান সূত্রটি।
একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন,‘ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গা—ঢাঁকা দিয়ে বাড়িতে থাকলেও সন্ধ্যা হলেই এলকা ছাড়েন তারা, কারন রাতেই শুরু হয় পুলিশি অভিযান। যাকে খুশি করা হয় গ্রেফতার। ইচ্ছেমাফিক মামলার আসামী করে পাঠানো হয় জেল হাজতে। তারা আরো বলেন— যে সময়ে নিবার্চনের আমেজ থাকার কথা সেই সময়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে নেতাকর্মীদের, নিরপেক্ষ নিবার্চন অনুষ্ঠিত করতে হলে দেশে নির্দলীয় সরকারের অধিনে নিবার্চনের বিকল্প নেই।
এদিকে একচেটিয়াভাবে চলছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের এক ডজন সম্ভাব্য প্রার্থীর মনোনয়নের লড়াই। তাদের দাবী বিএনপি নিবার্চনে অংশগ্রহণ করুক কিংবা নাই করুক, বর্তমান সরকারের অধিনেই অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নিবার্চন পরিচালনা করবেন ইসি। তারা আরো বলেন, আমরা সকল সম্ভাব্য প্রার্থীরাই আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাচ্ছি। মনোনয়ন বোর্ড যাকেই মনোনয়ন দেবে তার সাথেই এ আসনের সকল আ.লীগ নেতাকর্মীরা একাট্ট হয়ে প্রচার প্রচারণা চালাবো। একই সাথে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে এ আসনটি পূণরায় উপহার দিবো।