—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

ভারতের নির্দেশেই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা। এ দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে বিনষ্ট করেছেন ধর্মনীতি। বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গনহত্যাকারী দল আ.লীগের বিরুদ্ধে এমন কথার তীর ছুড়েঁন বিএনপি‘র কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বানিজ্যমন্ত্রী, এয়ার ভাইস মার্শাল(অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।  অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কতৃর্ক পাঠানো নিযার্তিত, নিপীড়িত বিএনপি নেতাদের মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান এবং উপজেলার সকল জামে মসজিদের দায়িত্বরত ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসনামল থেকে জনগনের মুক্তির পর, তৎকালীন সময়ে হামলা ও মামলায় এলাকাছাড়া নেতাদের প্রতি সমবেদনাসহ উৎসাহ উদ্দিপনা দেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের ১৭ বছরের শোষিত শাসনামলে দেশে গণহত্যার মঞ্চ তৈরী করেছিলো হাসিনা সরকার। ওই আমলে বিএনপিসহ প্রায় ৬০ লাখ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ৫ লাখের মতো মিথ্যা মামলা করা হয়। এসব মামলায় বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী পেশা হারিয়ে পথে বসেছিলো, কেউ কেউ জীবন বাঁচাতে দেশত্যাগ করতেও বাধ্য হয়েছিলেন। বছরের পর পর বছর স্বজন ও দেশের মায়া ত্যাগ করে রুটি রোজগার করেছেন প্রবাসে। দেশে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই জেলের অন্ধকার জীবন পার করেছেন। বন্দি জীবনে বছরের পর বছর সময় ধরে  নির্যাতনের ম্বীকার হয়েছেন। অনেক নেতাকর্মী লাশ হয়ে বের হয়েছেন জেলখানা থেকে।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ দেশের এমন অচলবস্থা তৈরী করে দিয়ে গেছে যা বলতে গেলে শুরু হবে শেষ হবেনা। ভারতের নির্দেশে দেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখতে প্রথমেই আঘাত করে শিক্ষাক্ষেত্রে, বিনষ্ট করে শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশের প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয়ের ১৭ বছরের পূরানো ইতিহাস খুঁজলে দেখা যায়, শিক্ষার নামে ধর্ষণের সেঞ্চুরী ছিলো, নকলে মহোৎসব, অটোপাশ, কিন্তু আমাদের ছাত্র সমাজ দেশের জনগনকে সাথে নিয়ে হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছেন এবং বিপদ মুক্ত , কাফের মুক্ত করেছেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আলতাফ হোসেন চৌধুরী সাধারন জনগনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নিবার্চন আমাদের রাষ্ট্রিয় অধিকার। তবে সেই নিবার্চন অবশ্যই যেনো ফ্যাসিষ্ট হাসিনা আমলের মতো না হয় সেদিকে আমাদের সকলের নজর দিতে হবে! এজন্য যা করতে হবে তা হলো দেশের পরিস্থিতি ঠিক করতে নিবার্চন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে, কারন এটিও ধ্বংস করেছিলেন ওই হাসিনা। গঠন করতে হবে নিবার্চনী সুব্যবস্থা। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের কাজে সকল ধরনের সহযোগীতা করতে হবে। বিনষ্ট হওয়া দেশের রাষ্ট্রিয় শাসনব্যবস্থা, আইন ও বিচার বিভাগসহ সকল ক্ষেত্রে জনগণকে সাথে নিয়েই সুন্দর একটি বাংলাদেশ বির্নিমানে এগিয়ে যেতে হবে। একইসাথে দেশের সদ্য ফিরিয়ে আনা স্বাধিনতার নায়ক আবু সাঈদ ও  মুগ্ধ‘দের হত্যার বিচার এ দেশের মাটিতেই করার ব্যবস্থা করতে হবে।

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সাবেক (ভিপি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক জাফর ইমাম সিকদারের সভাপতিত্বে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন দিনির্দেশনা দেন বিএনপি‘র কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা বিএনিপির সদস্য মাকসুদ আহমেদ বাইজিদ পান্না, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি আ্যাড. মহসীন উদ্দিন, মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন ও সাবেক সাধারণ সম্পাাদক জাহাঙ্গির হোসেন ফরাজী ও যুবদলের আহ্বায়ক গাজী রাশেদ শামস্ প্রমূখ।