মদ্যপায়ীবস্থায় নারীকে হেনস্থা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এলজিইডি‘র কার্যসহকারীর বিরুদ্ধে মদ্যপায়ীবস্থায় এক নারীকে হেনস্থার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চৈতামোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই কার্যসহকারী রেজাউল করিম কিরন বর্তমানে মির্জাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। অভিযোগ আছে রেজাউল করিম প্রায়ই মদ্যপান করে মাতালবস্থায় বিভিন্ন সময়ে ওই এলকার লোকদের গালাগালসহ নানাভাবে হেনস্থা করেন। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী সোমবার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,‘ রবিবার বিকালে বরিশাল থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে বৃষ্টির মধ্যে ওই ভুক্তভোগী নারী চৈতামোড় এলকায় মটোরসাইকেল থেকে নেমে একটি চায়ের দোকানে থামে। হঠাৎ ওই দোকানে উপস্থিত হন রেজাউল করিম কিরন। দোকানে উঠেই ওই নারীকে তিনি নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। ওই নারী জানান,‘ আমাকে প্রথমেই প্রশ্ন করেন আমি কোথা থেকে এসছি, কোথায় যাচ্ছি , কেনো যাচ্ছি, আমার বয়স কত, আমি একা যাচ্ছি কিনা? এসব অবান্তর প্রশ্ন শুরু করেন। আমি এসব প্রশ্নে কারন জানতে চাইলেই আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। এক পর্যায়ে আমার সাথে থাকা ছোট ভাই তাকে নিষেধ করলে তিনি আমাকে ও আমার ভাইকে মারর জন্য একাধিকবার তেেঁড় আসেন । এসময়ে ওই চায়ের দোকানিসহ আশেপাশেরর লোকজন এসে তাকে বাঁধা দেয় এবং আমাদের পাশের আরেকটি দোকানে বসায়। পরে জানতে পারি ওই রেজাউল করিম কিরন মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কার্যসহকারী হিসেবে কর্মরত। তারা আরো বলেন, তিনি নিয়মিত মদ্যপান করেন, এবং মদ্যপায়ীবস্থায় এমন প্রায় লোকের সাথেই অশ্লীল আচারণ করেন। একজন সরকারি র্কচারীর এমন আচারণে একজন নারী হিসেবে আমি বিব্রত। এর সঠিক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানায়,‘ রেজাউল করিম কিরন প্রায়ই এলকার লোকজনদের সাথে অহেতুক তর্কে জড়িয়ে গালাগাল করেন, স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিন্টু মাষ্টার, ফিরোজ, সাদেক বলেন ঘটনার সময় আমরা উপস্থিত ছিলাম। রেজাউল করিম যেমন আচারণ করেছেন তা মোটেই শোভনীয় নয়। ওই নারীকে নানাভাবে হেনস্থা করেছেন এবং ধাক্কা পর্যন্ত দিয়েছেন।
চা দোকানি শিমু বেগম বলেন, আমিও একজন নারী , রাস্তায় একজন পথচারী নারির সাথে এমন আচারণ সত্যিই খারাপ। ঘটনাটি আমার দোকানের মধ্যেই ঘটে। আমরা বাধা দিলেও রেজাউল করিম থামেনি। তাছাড়া তিনি প্রায়ই মাতাল হয়ে আমার দোকানে আসে, এবং খাবার খেয়ে টাকা পর্যন্ত দেয় না। টাকা চাইলে উল্টো গালাগাল করে চলে যান। তার এমন কান্ডে আমরা স্থানীয়রাই বিব্রত।
এ বিষয়ে এলজিইডি‘র কার্যসহকারী রেজাউল করিম বলেন,‘ ওইদিন আমার মাথা গরম ছিলো কিন্তু ওই মহিলার সাথে খারাপ আচারণ করিনি। মদ্যপাণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিয়মিত অফিস করি, আমার ব্যাপারে সবাই মনগড়া বলছে আমি মদ খাই না।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) মো. আলমগীর বাদশাহ্ বলেন,‘ এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাটির তদন্ত করে ঊর্ধতন কতৃর্পক্ষের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।