ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিজার্গঞ্জে কঠোর নিরাপত্তা থাকলেও ভোটরদের শঙ্কা সহিংসতা

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
  • ৭ ভিউ

মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চলছে ত্রিমুখী লড়াই।

রাত পোহালেই শুরু হতে যাচ্ছে এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। তবে ভোটের আগেই মিজার্গঞ্জে নিবার্চনকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী লড়াইয়ে শুরু হয় একের পর এক সহিংসতা। ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে দুইদিনের সংঘর্ষে আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত। যার মধ্যে অধিকাংশই বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ফলে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক, রয়েছেন সহিংসতার শঙ্কায় । সকাল আটটা থেকে শুরু হবে উপজেলা পরিষদ নিবার্চনের ভোট গ্রহণ যা শেষ হবে বিকাল চারটায়। এ উপলক্ষে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার চাদরে পুরো মিজার্গঞ্জ উপজেলা। তবুও হামলা ও সহিংসতার শঙ্কায় রয়েছেন এ উপজেলার ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৫ সাধারণ ভোটার।  
মিজার্গঞ্জ উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন হেভিওয়েট তিনপ্রার্থী। 

এর মধ্যে (কাপ—পিরিচ) প্রতীকে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো.আবু বকর সিদ্দিক ও (ঘোড়া) প্রতীকে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের মধ্যে ভোটরে মাঠর লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। তারা দুজনই উপজেলা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা। শেষ মুহুর্তের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ওই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হয় একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা। এদিকে তাদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়, (আনারস) প্রতীকের সদ্য বহিস্কৃত বিএনপি নেতা আশ্রাফ আলী হাওলাদার। আ.লীগের দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইকে পুজিঁ করে ভোটের মাঠে জয়ী হতে স্বক্রীয় তিনি। ফলে রাত পোহালেই ভোটের লড়াই হবে ত্রিমুখী।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন সাইফুল ইসলাম সোহাগ মৃধা (উড়োজাহাজ),মো.ওমর ফারুক শাওন(মাইক), মো.জহিরুল ইসলাম লোটাস(বই),নুরুজ্জামান (টিউবওয়েল),মো.রাসেল মোল্লা (তালা), রিপন (টিয়া পাখি),মোহাম্মদ দুলাল ফকির (চশমা)। মোট সাতজন প্রার্থী। একইসাথে ভোটের মাঠে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে স্বক্রীয় আয়শা সিদ্দিক(কলস), মোসা. হাসিনা বেগম (হাঁস),মাহাবুবা মোর্শেদা রানু(প্রজাপতি)। মোট তিন প্রার্থী।

ভোট প্রদানে কতটা আগ্রহী ও উৎফুল্ল সাধারণ ভোটার ! এ বিষয়ে জানতে কথা হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ভোটারের সাথে। তারা এ প্রতিবেদককে বলেন,‘ অনেক বছর পর নির্বাচনের স্বাদ পাচ্ছি, প্রার্থীদের কাছে কদরও বেড়েছে আমাদের(ভোটার)।  তবে শংঙ্কা একটাই ভোট কেন্দ্রে যাবার পথে প্রার্এীদের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলার মুখোমুখি হলে, আমরা সাধারন ভোটারও তো সেই হামলার শিকার হতে পারি। এজন্য আমরা দুশ্চিন্তাসহ ভীতিকর সময় পার করছি। তবে পরিস্থিতি ভালো থাকলে এবং প্রশাসন নিরাপত্তা দিলে আমরা ভোট দিবো। কারন অনেক বছর পর ভোট দেবার সুযোগ পেয়েছি। সাধারন ভোটাররা তাদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে কি ধরনের প্রার্থী নির্বাচিত করতে চায় ? ্মন প্রশ্নে তারা আরো জানান,‘ যে প্রার্থী এলকার উন্নয়ন করবে, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবে এবং গরিব মেহনতি মানুষের মনের দুঃখ কষ্ট বুঝবে এমন প্রার্থীই আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চাই।’

দিকে সুষ্ঠু নিবার্চন পরিচালনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন, এমনটাই নিশ্চিত করেছেন  সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রার্থী কিংবা তার সমর্থক কতৃর্ক নিবার্চন পরিচালনা কাজে বিঘ্নতা সৃষ্টি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ফলে কঠোর নিরাপত্তা দিতে ভোটের মাঠে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা স্বক্রীয় থাকবে। একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন উপহার দিতে কঠোর নিরাপত্তায় স্বক্রিয় প্রশাসন এমনটিই জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। 

উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪৩টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৫। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভ্যালোটের মাধ্যমে মিজার্গঞ্জ উপজেলা পরিষদ নিবার্চনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

মিজার্গঞ্জে কঠোর নিরাপত্তা থাকলেও ভোটরদের শঙ্কা সহিংসতা

আপডেট টাইম ১০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

রাত পোহালেই শুরু হতে যাচ্ছে এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। তবে ভোটের আগেই মিজার্গঞ্জে নিবার্চনকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী লড়াইয়ে শুরু হয় একের পর এক সহিংসতা। ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে দুইদিনের সংঘর্ষে আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত। যার মধ্যে অধিকাংশই বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ফলে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক, রয়েছেন সহিংসতার শঙ্কায় । সকাল আটটা থেকে শুরু হবে উপজেলা পরিষদ নিবার্চনের ভোট গ্রহণ যা শেষ হবে বিকাল চারটায়। এ উপলক্ষে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার চাদরে পুরো মিজার্গঞ্জ উপজেলা। তবুও হামলা ও সহিংসতার শঙ্কায় রয়েছেন এ উপজেলার ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৫ সাধারণ ভোটার।  
মিজার্গঞ্জ উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন হেভিওয়েট তিনপ্রার্থী। 

এর মধ্যে (কাপ—পিরিচ) প্রতীকে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো.আবু বকর সিদ্দিক ও (ঘোড়া) প্রতীকে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের মধ্যে ভোটরে মাঠর লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। তারা দুজনই উপজেলা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা। শেষ মুহুর্তের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ওই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হয় একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা। এদিকে তাদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়, (আনারস) প্রতীকের সদ্য বহিস্কৃত বিএনপি নেতা আশ্রাফ আলী হাওলাদার। আ.লীগের দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইকে পুজিঁ করে ভোটের মাঠে জয়ী হতে স্বক্রীয় তিনি। ফলে রাত পোহালেই ভোটের লড়াই হবে ত্রিমুখী।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন সাইফুল ইসলাম সোহাগ মৃধা (উড়োজাহাজ),মো.ওমর ফারুক শাওন(মাইক), মো.জহিরুল ইসলাম লোটাস(বই),নুরুজ্জামান (টিউবওয়েল),মো.রাসেল মোল্লা (তালা), রিপন (টিয়া পাখি),মোহাম্মদ দুলাল ফকির (চশমা)। মোট সাতজন প্রার্থী। একইসাথে ভোটের মাঠে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে স্বক্রীয় আয়শা সিদ্দিক(কলস), মোসা. হাসিনা বেগম (হাঁস),মাহাবুবা মোর্শেদা রানু(প্রজাপতি)। মোট তিন প্রার্থী।

ভোট প্রদানে কতটা আগ্রহী ও উৎফুল্ল সাধারণ ভোটার ! এ বিষয়ে জানতে কথা হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ভোটারের সাথে। তারা এ প্রতিবেদককে বলেন,‘ অনেক বছর পর নির্বাচনের স্বাদ পাচ্ছি, প্রার্থীদের কাছে কদরও বেড়েছে আমাদের(ভোটার)।  তবে শংঙ্কা একটাই ভোট কেন্দ্রে যাবার পথে প্রার্এীদের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলার মুখোমুখি হলে, আমরা সাধারন ভোটারও তো সেই হামলার শিকার হতে পারি। এজন্য আমরা দুশ্চিন্তাসহ ভীতিকর সময় পার করছি। তবে পরিস্থিতি ভালো থাকলে এবং প্রশাসন নিরাপত্তা দিলে আমরা ভোট দিবো। কারন অনেক বছর পর ভোট দেবার সুযোগ পেয়েছি। সাধারন ভোটাররা তাদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে কি ধরনের প্রার্থী নির্বাচিত করতে চায় ? ্মন প্রশ্নে তারা আরো জানান,‘ যে প্রার্থী এলকার উন্নয়ন করবে, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবে এবং গরিব মেহনতি মানুষের মনের দুঃখ কষ্ট বুঝবে এমন প্রার্থীই আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চাই।’

দিকে সুষ্ঠু নিবার্চন পরিচালনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন, এমনটাই নিশ্চিত করেছেন  সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রার্থী কিংবা তার সমর্থক কতৃর্ক নিবার্চন পরিচালনা কাজে বিঘ্নতা সৃষ্টি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ফলে কঠোর নিরাপত্তা দিতে ভোটের মাঠে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা স্বক্রীয় থাকবে। একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন উপহার দিতে কঠোর নিরাপত্তায় স্বক্রিয় প্রশাসন এমনটিই জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। 

উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪৩টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৫। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভ্যালোটের মাধ্যমে মিজার্গঞ্জ উপজেলা পরিষদ নিবার্চনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।