ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মির্জাগঞ্জে প্রতীক পেয়েই প্রচারণার যুদ্ধে প্রার্থীরা

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • ১০ ভিউ


তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে ডামাডোল বেজে উঠলো পটুয়াখালীর মিজার্গঞ্জ উপজেলার। তফসিল অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই, এ উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার— প্রচারণা। সোমবার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী, তিন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং ও জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা খান আবী শাহানুর খান। এদিকে নিবার্চনকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিক প্রার্থীর, কর্মী সমর্থকদের মধ্যে পালটাপালটি সংঘাতের আশংঙ্কা করছেন। তবে নিবার্চনকে কেন্দ্র করে কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলছেন প্রশাসন।


সোমবার সকালে প্রথমে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের, পরে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান পদে খান মো.আবুবকর সিদ্দিক পেয়েছেন (কাপ—পিরিচ),মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল(ঘোড়া), মো.আশ্রাফ আলী হাওলাদার (আনারস) প্রতীক। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম সোহাগ মৃধা (উড়োজাহাজ),মো.ওমর ফারুক শাওন(মাইক), মো.জহিরুল ইসলাম লোটাস(বই),নুরুজ্জামান (টিউবওয়েল),মো.রাসেল মোল্লা (তালা), রিপন (টিয়া পাখি),মোহাম্মদ দুলাল ফকির (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিক(কলস), মোসা. হাসিনা বেগম (হাঁস),মাহাবুবা মোর্শেদা রানু(প্রজাপতি) প্রতীক পেয়েছেন।

প্রতিক পেয়েই সরব হয়ে ওঠেন প্রার্থী ও সমর্থকরা, সৃষ্টি হয় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা। প্রার্থীদের সমর্থকদের স্লোগাণে প্রচার যুদ্ধে ভারী হয়ে ওঠে উপজেলার আশেপাশের পুরো এলাকা। পরে প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতিক নিয়ে এলাকায় এসে স্থানীয় ভোটার ও সমর্থকদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে প্রচারণা শুরু করেন। দুপুরের পর থেকে পুরো উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে মাইকিংও। বিকালের দিকে উপজেলা বেশ কয়েকটি এলাকায় মিছিল শোডাউনসহ প্রচারের প্রথম দিনেই এলাকাবাসীর সাথে গণসংযোগ করেন প্রার্থীরা।

এদিকে সুষ্ঠু নিবার্চন পরিচালনায় আচারণ বিধি মেনে সকল প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন মিজার্গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রার্থী কিংবা তার সমর্থক কতৃর্ক নিবার্চন পরিচালনা কাজে বিঘ্নতা সৃষ্টি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪৩টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৫। আগামী ২৯মে ভ্যালোটের মাধ্যমে মিজার্গঞ্জ উপজেলা পরিষদ নিবার্চনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

মির্জাগঞ্জে প্রতীক পেয়েই প্রচারণার যুদ্ধে প্রার্থীরা

আপডেট টাইম ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪


তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে ডামাডোল বেজে উঠলো পটুয়াখালীর মিজার্গঞ্জ উপজেলার। তফসিল অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই, এ উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার— প্রচারণা। সোমবার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী, তিন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং ও জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা খান আবী শাহানুর খান। এদিকে নিবার্চনকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিক প্রার্থীর, কর্মী সমর্থকদের মধ্যে পালটাপালটি সংঘাতের আশংঙ্কা করছেন। তবে নিবার্চনকে কেন্দ্র করে কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলছেন প্রশাসন।


সোমবার সকালে প্রথমে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের, পরে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান পদে খান মো.আবুবকর সিদ্দিক পেয়েছেন (কাপ—পিরিচ),মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল(ঘোড়া), মো.আশ্রাফ আলী হাওলাদার (আনারস) প্রতীক। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম সোহাগ মৃধা (উড়োজাহাজ),মো.ওমর ফারুক শাওন(মাইক), মো.জহিরুল ইসলাম লোটাস(বই),নুরুজ্জামান (টিউবওয়েল),মো.রাসেল মোল্লা (তালা), রিপন (টিয়া পাখি),মোহাম্মদ দুলাল ফকির (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিক(কলস), মোসা. হাসিনা বেগম (হাঁস),মাহাবুবা মোর্শেদা রানু(প্রজাপতি) প্রতীক পেয়েছেন।

প্রতিক পেয়েই সরব হয়ে ওঠেন প্রার্থী ও সমর্থকরা, সৃষ্টি হয় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা। প্রার্থীদের সমর্থকদের স্লোগাণে প্রচার যুদ্ধে ভারী হয়ে ওঠে উপজেলার আশেপাশের পুরো এলাকা। পরে প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতিক নিয়ে এলাকায় এসে স্থানীয় ভোটার ও সমর্থকদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে প্রচারণা শুরু করেন। দুপুরের পর থেকে পুরো উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে মাইকিংও। বিকালের দিকে উপজেলা বেশ কয়েকটি এলাকায় মিছিল শোডাউনসহ প্রচারের প্রথম দিনেই এলাকাবাসীর সাথে গণসংযোগ করেন প্রার্থীরা।

এদিকে সুষ্ঠু নিবার্চন পরিচালনায় আচারণ বিধি মেনে সকল প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন মিজার্গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রার্থী কিংবা তার সমর্থক কতৃর্ক নিবার্চন পরিচালনা কাজে বিঘ্নতা সৃষ্টি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪৩টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৫। আগামী ২৯মে ভ্যালোটের মাধ্যমে মিজার্গঞ্জ উপজেলা পরিষদ নিবার্চনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।