ডান্ডাবেড়ি নিয়েই বাবার জানাজায় ছেলে
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
দেশজুড়ে আলোচিত ঘটনা ডান্ডাবেড়ি নিয়ে বাবর জানাজায় উপস্থিত হওয়া সেই ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি পটুয়াখালীর মিজার্গঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে হওয়া মামলায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গত ১৯শে ডিসেম্বর রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন ওই ছাত্রদল নেতা। ওই মামলায় ২৭ দিন কারাভোগের পর বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি জামিনে মুক্তি পান। নাজমুলের বড় ভাই রাসেল মৃধা জামিনে মুক্তির বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন। বুধবার পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নাজমুলের জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক এস এম এরশাদুল আলম তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে বিকালে কারাগার থেকে ছাত্রদল নেতা নাজমুলকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কারাগারে থাকাকালীন তার বাবা মোতালেব মৃধা মারা যান। আদালতে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে পাঁচ ঘন্টার জন্য মুক্তির আদেশ দেন আদালত। যে কারণে জানাজার নির্ধারিত সময়ের আগেই সংক্ষিপ্ত একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয় পিতা মোতালেব হোসেনের। পরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হয় তার পিতার মরদেহ। বাবার কবেও মাটি দেয়ার আগেই পটুয়াখালী কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় নাজমুলকে। গত শনিবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী গ্রামে জানাজায় অংশ নেন নাজমুল। সেই জানাজায় অংশ নেওয়ার কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায়, পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায়ই জানাজায় অংশ নেন ঐ যুবক। যা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে ঘটনাটি ঘিরে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় হাইকোর্টও এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিষয়টি দেশব্যাপী আলোচিত হলে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো আনসিভিলাইজড (সভ্য নয়) হিসেবে পরিচিত হব। উল্লেখিত প্রকাশিত সংবাদটি নজরে আনা হলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত সোমবার এ মন্তব্য করেন। হাইকোর্টের আইনজীবী কায়সার কামাল এ ঘটনায় চলতি সপ্তাহে নতুন করে রিট আবেদন করবেন বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।’