মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
ডেস্ক নিউজঃ মুক্তিযুদ্ধবিষযক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে যেন কোনো অবৈধ অস্ত্র ঢুকতে না পারে, সেজন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমানকে। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশে হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সভায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের যে কোনো সময় ডোপ টেস্ট করা হবে।
‘দেশের কিছু এনজিও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি’ মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে ফেরত না যায়, এজন্য গোপনে কিছু এনজিও কাজ করছে। তারা গুজব ছড়াচ্ছে, মিয়ানমারে ফিরে গেলে তাদের হত্যা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা একটা বিষয়ে উদ্বিগ্ন। সেটা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেগুলো সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের যেসব সংস্থা আছে, তারা যাতে মনিটরিং করে, সে ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রান্তিক চাষি, যারা উৎপাদন করে, তারা কিন্তু আসল মূল্যটা পায় না।
মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর প্রবণতা রয়েছে। এটা রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমানকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র, নাশকতামূলক কাজ এবং ধর্মীয় উস্কানির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক কাজে কোনো বাধা নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি ছাড়া প্রত্যেক দল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে, সরকার কারও কাজেই বাধা দেয় না, দেবে না। যদি না জনজীবন অচল করার প্রচেষ্টা করে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দল বুঝবে। কোনো দলকে নিয়ন্ত্রণ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নয়।
তিনি বলেন, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইলেকশনের শিডিউল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর সরকারের কার্যক্রম নতুন কোনো পরিকল্পনা নিতে পারে না, শুধু রুটিন ওয়ার্ক করে যায়। অন্তর্বর্তীকালন সরকার হিসাবে কাজ করে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে সবকিছু থাকে।
মোজাম্মেল হক বলেন, পূজা আসন্ন, সে সময় যাতে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন না হয়, নির্বিঘ্নে যাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন; সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর রাখবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছি। এটি নিশ্চিত করতে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ। বিশ্বের তুলনায় আমরা ভালো অবস্থায় আছি।