ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যারা স্যাংশন দেবে আমরাও তাদের দেব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮ ভিউ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর যারা স্যাংশন দেবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরাও স্যাংশন দেব। তবে স্যাংশন দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশের তাড়াহুড়া নেই। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ড. মোমেন।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে নিউইয়র্কে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের স্যাংশন দেবে। স্যাংশন দেওয়া নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না, জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরাও স্যাংশন দেব। প্রয়োজনে প্রস্তুতি নেব আমরা। অবশ্যই আমরা স্যাংশন দেব। স্যাংশন কাদের ওপর দেওয়া হবে এবং কী বিষয়ে স্যাংশন দেওয়া হবে-জানতে চাইলে মোমেন বলেন, যারা আমাদের ওপর স্যাংশন দেবে, তাদের ওপর স্যাংশন দিতে পারি। পারি না? নিশ্চয়ই পারি। প্রয়োজনে প্রস্তুতি নেব। তাড়াহুড়া কীসের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্যাংশন হতে পারে। এগুলো সময়মতো জানবেন।

এ সময় মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কোনো মাথাব্যথা বা দুশ্চিন্তা নেই বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বলেন, সরকার বিদেশিদের মুখাপেক্ষী নয়। ফলে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কে আসবে বা আসবে না, তা নিয়ে চিন্তিত নই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কোনো দলের পক্ষে নয়। যে দল নির্বাচনে আসবে না, তাদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র নেই।

এদিকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে। বাইরের দেশ থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের স্যাংশন দেবে।

২৭ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং আমেরিকা কেন আকস্মিকভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছে, সেটাই প্রশ্ন।

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

যারা স্যাংশন দেবে আমরাও তাদের দেব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর যারা স্যাংশন দেবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরাও স্যাংশন দেব। তবে স্যাংশন দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশের তাড়াহুড়া নেই। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ড. মোমেন।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে নিউইয়র্কে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের স্যাংশন দেবে। স্যাংশন দেওয়া নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না, জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরাও স্যাংশন দেব। প্রয়োজনে প্রস্তুতি নেব আমরা। অবশ্যই আমরা স্যাংশন দেব। স্যাংশন কাদের ওপর দেওয়া হবে এবং কী বিষয়ে স্যাংশন দেওয়া হবে-জানতে চাইলে মোমেন বলেন, যারা আমাদের ওপর স্যাংশন দেবে, তাদের ওপর স্যাংশন দিতে পারি। পারি না? নিশ্চয়ই পারি। প্রয়োজনে প্রস্তুতি নেব। তাড়াহুড়া কীসের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্যাংশন হতে পারে। এগুলো সময়মতো জানবেন।

এ সময় মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কোনো মাথাব্যথা বা দুশ্চিন্তা নেই বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বলেন, সরকার বিদেশিদের মুখাপেক্ষী নয়। ফলে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কে আসবে বা আসবে না, তা নিয়ে চিন্তিত নই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কোনো দলের পক্ষে নয়। যে দল নির্বাচনে আসবে না, তাদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র নেই।

এদিকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে। বাইরের দেশ থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের স্যাংশন দেবে।

২৭ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং আমেরিকা কেন আকস্মিকভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছে, সেটাই প্রশ্ন।