ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুবর্ণজয়ন্তী সময় পর লাইভে এসে যা বললেন মেজর ডালিম

  • প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম ১০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১২ ভিউ

সুবর্ণজয়ন্তী সময় পার করে অবশেষে সামাজিকমাধ্যম ইউটিউবের লাইভে আসেন বাংলাদেশের ইতিহাসে আলোচিত মুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে ‘লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)’ শিরোনামে প্রবাসে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে লাইভে যুক্ত হন সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা। সেখানে বিভিন্ন ইস্যুর সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান ও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

মেজর ডালিম বলেন, ‘মুজিব মারা যায়নি, একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন। বাকশাল বিদায়ের পর কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে শুকরিয়া আদায় করেছে।’ তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব তার জুলুমের মাত্রা এতোটাই তীব্র করেছিল স্বৈরাচারী আচরণের মতো যে, তখন মানুষ রবের কাছে মুক্তি চাচ্ছিল তার জুলুমের অবসানের জন্য।’ মেজর ডালিম বলেন, ‘তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে গেল। ছিল না যখন কেউ নেতৃত্ব দেওয়ার। সমঝোতা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। পাকিস্তান বাহিনী যখন বাঙালির ওপর হামলে পড়েছিল। তখন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে। মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনে মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গেলাম।’

এই বীর বিক্রম বলেন, যখন সাত দফাতে চুক্তি করে নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিনকে পারমিশন দেওয়া হলো একটা প্রভিশনাল গভমেন্ট গঠন করার। সাতটা ক্লজ পড়ে সাইন করার পর নজরুল ইসলাম ফিট হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যে, আমরা ক্রমান্বয়ে ভারতের একটা করদরাজ্য-অঙ্গরাজ্যে পরিণত হব। ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের নেপথ্যের নায়ক ছাত্র-জনতাকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রসারণবাদী-হিন্দুত্ববাদী ভারত যার কবজায় আমরা প্রায় চলে গিয়েছি। সেই অবস্থান থেকে সেই ৭১’এর মতো আরেকটা স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে বিপ্লব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

জাতীয় সঙ্গীত ইস্যুতে ডালিম বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের না হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বা অন্যান্য স্বনামধন্য দেশীয় কবিদের গান হতে পারত। ভিনদেশী একজন কবির গানকে জাতীয় সঙ্গীত বানানোকে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ট্যাগ

মন্তব করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল

সুবর্ণজয়ন্তী সময় পর লাইভে এসে যা বললেন মেজর ডালিম

আপডেট টাইম ১০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

সুবর্ণজয়ন্তী সময় পার করে অবশেষে সামাজিকমাধ্যম ইউটিউবের লাইভে আসেন বাংলাদেশের ইতিহাসে আলোচিত মুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে ‘লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)’ শিরোনামে প্রবাসে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে লাইভে যুক্ত হন সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা। সেখানে বিভিন্ন ইস্যুর সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান ও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

মেজর ডালিম বলেন, ‘মুজিব মারা যায়নি, একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন। বাকশাল বিদায়ের পর কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে শুকরিয়া আদায় করেছে।’ তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব তার জুলুমের মাত্রা এতোটাই তীব্র করেছিল স্বৈরাচারী আচরণের মতো যে, তখন মানুষ রবের কাছে মুক্তি চাচ্ছিল তার জুলুমের অবসানের জন্য।’ মেজর ডালিম বলেন, ‘তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে গেল। ছিল না যখন কেউ নেতৃত্ব দেওয়ার। সমঝোতা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। পাকিস্তান বাহিনী যখন বাঙালির ওপর হামলে পড়েছিল। তখন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে। মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনে মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গেলাম।’

এই বীর বিক্রম বলেন, যখন সাত দফাতে চুক্তি করে নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিনকে পারমিশন দেওয়া হলো একটা প্রভিশনাল গভমেন্ট গঠন করার। সাতটা ক্লজ পড়ে সাইন করার পর নজরুল ইসলাম ফিট হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যে, আমরা ক্রমান্বয়ে ভারতের একটা করদরাজ্য-অঙ্গরাজ্যে পরিণত হব। ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের নেপথ্যের নায়ক ছাত্র-জনতাকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রসারণবাদী-হিন্দুত্ববাদী ভারত যার কবজায় আমরা প্রায় চলে গিয়েছি। সেই অবস্থান থেকে সেই ৭১’এর মতো আরেকটা স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে বিপ্লব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

জাতীয় সঙ্গীত ইস্যুতে ডালিম বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের না হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বা অন্যান্য স্বনামধন্য দেশীয় কবিদের গান হতে পারত। ভিনদেশী একজন কবির গানকে জাতীয় সঙ্গীত বানানোকে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেন তিনি।