বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগীতে একটি নির্মাণাধীন মাদরাসা ভবনের সিঁড়ি নির্মাণের সপ্তাহ শেষ না হতেই ধসে পড়েছে। বেতাগী সালেহীয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার নতুন ভবন নিমার্ণকালে নিচতলা থেকে দোতলার ছাদে উঠার সিঁড়িতে ঢালাইয়ের পর এ ধসের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার ফলেই এ ধসের সৃষ্টি হয়েছে, তবে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর দাবী নির্দিষ্ট সময়ের আগে সাটারিং খোলার কারণে সিঁড়ি ধসে পড়েছে।জানা যায়, বেতাগী সালেহীয়া সিনিয়র মাদরাসার চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য নাজমুন সাদাত ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পায়। গত মে মাসের শেষের দিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির তদরকি কমিটিকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজের শুরুতেই নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারের কাছে বারবার অবকাঠামো নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা তবে তা কর্ণপাত করেননি কেউ। সবশেষ সোমবার গভির রাতে নির্মাণাধীন সিঁড়ি ধসে পড়ে। এভাবে তদরকিবিহীন কাজ চলতে থাকলে যেকোন সময় পুরো ভবনটি ভেঙ্গে পরার আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা বলেন,‘ ভবনটি নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদার নিন্মমানের উপকরণ ব্যবহার করে আসছে। ঢালায়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে টেম্পারবিহীন সিমেন্ট,কর্দমাযুক্ত বালু,পাথর এবং পরিমানে রডও কম দেয়া হয়েছে। এমনকি ঢালাইয়ের কাজে তাদের প্রয়োজনীয় মিক্সার মেশিনও ছিলো না। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে ঠিকাদারের সাথে যোগযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ভবন নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের প্রতিনিধি মো. তুষার বলেন, ভবনের প্রাক্কলনটিই ত্রুটিপূর্ণ। প্রাক্কলনের মধ্যে সিঁড়ির নীচের স্তরে দুটি পিলার থাকলে এ দূর্ঘটনা হতো না। নির্মাণকাজে কোনো ধরণের নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার করা হয়নি।বরগুনার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান বলেন,‘ ঢালাই কাজের ২১ থেকে ২৮ দিন পর সাটারিং খোলার নিয়ম থাকলেও নির্মাণ শ্রমিকরা একসপ্তাহের মাথায় সাটারিং খোলার কারণে সিঁড়ি ধসে পড়েছে। ঢালাইয়ের কাজে নিন্মমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন,‘ মাদরাসা ভবন নির্মানের ৭ দিনের মধ্যে ভেঙে পড়বে, তবে নির্মানের দরকার কি ছিলো ? এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।